ক. একবার আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে।

খ. সূরাতুল ইখলাস, সূরাতুল ফালাক ও সূরা নাস তিন বার করে পাঠ করবে।

গ. তিনবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمِ

‘‘শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান এবং যমীনের কোন বস্ত্তই কোন ক্ষতি করতে পারবেনা, তিনি মহাশ্রোতা মহাজ্ঞানী’’।

ঘ. তিনবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ ما خَلَقَ

‘‘আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর পরিপূর্ণবাণী সমূহের মাধ্যমে। তাঁর সৃষ্টির সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে’’।[1]

ঙ. তিনবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

رَضِيْتُ بِاللهِ ربًّا وبالإسلاَمِ دِيْناً وبِمُحمدٍ نبيّاً ورسولاً

‘‘আমি সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করেছি আল্লাহ্কে প্রভু হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) কে নাবী ও রসূল হিসেবে’’।[2]

চ. সাতবার এই দু’আটি বলবেঃ

حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ

‘‘আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন সত্য মা’বুদ নেই, তাঁর প্রতিই ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

 

ছ. একবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

أصْبَحْناَ على فِطْرَةِ الإسْلَامِ وَ عَلَى كَلِمَةِ الإِخْلَاصِ وعلى دِيْنِ نَبِيِّناَ مُحَمَّدٍ وَعَلَى مِلَّةِ أبِيْناَ إبْرَاهِيمَ حَنِيْفاَ مُسْلِماً وماَ كاَنَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

‘‘আমাদের সকাল হল ফিতরাতের (ইসলামের) উপর, একনিষ্ঠ বাণীর উপর, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এর দ্বীনের উপর এবং আমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) এর মিল্লাতের উপর। তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’’।

 

সন্ধ্যায় পাঠ করার সময় এভাবে পাঠ করবেঃ

أمْسَيْنَا على فِطْرَةِ الإسلامِ وَ على كَلِمَةِ الإِخْلاصِ وعلى دِيْنِ نَبِيِّناَ محمد وعلى مِلَّةِ أبِيْناَ إبراهيمَ حَنِيْفاَ مُسْلِماً وماَ كاَنَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

‘‘আমাদের বিকাল হল ফিতরাতের (ইসলামের) উপর, একনিষ্ঠ বাণীর উপর, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর দ্বীনের উপর এবং আমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) এর মিল্লাতের উপর তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।

জ. একবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

أصْبَحْناَ واصْبَحَ المُلْكُ للهِ والْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى

كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أسْألُكَ خَيْرَ مَا فِيْ هذا الْيَوْمِ وخَيْرَ ماَ بَعْدَهُ وأعوذُ بِكَ منْ شَرِّ ما فِيْ هذا اليومِ وَشَرِّ

ما بَعْدَهُ ربِّ أعُوُذُ بِكَ مِنَ الكَسَلِ وسُوْءِ الكِبَرِ ربِّ أعوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِيْ النَّارِ وعَذَابٍ في القَبْرِ

‘‘আমরা সকাল করেছি এমন অবস্থায় যে, রাজত্ব এককভাবে আল্লাহর জন্য, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই অধিকারে এবং সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে প্রভু আজকের দিন এবং পরবর্তী দিনের মঙ্গল তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে আজকের দিন এবং পরবর্তী দিনের অমঙ্গল থেকে। হে প্রভু! আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে অলসতা থেকে এবং অধিক বয়সের অনিষ্টতা থেকে। হে প্রভু! আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার কাছে দোযখের শাস্তি এবং কবরের আযাব হতে।

সন্ধার সময় এভাবে বলবেঃ

أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلّ شَىْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِى هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ

ঝ. একবার এই দু’আটি বলবেঃ

اللّٰهُمَّ بِكَ أصْبَحْناَ وبِكَ أمسَيْناَ وبِكَ نَحْياَ وَبِكَ نَمُوْتُ وَإلَيْكَ النُّشُوْرُ

‘‘হে আল্লাহ্! তোমার অনুগ্রহে সকাল করেছি এবং তোমার অনুগ্রহে সন্ধা করেছি, তোমার করুনায় জীবন লাভ করি এবং তোমার ইচ্ছায় আমরা মৃত্যু বরণ করব, আর কিয়ামত দিবসে তোমার কাছেই পুনরত্থিত হতে হবে’’।

সন্ধার সময় দু’আটি এভাবে বলবেঃ

اللّٰهُمَّ بِكَ أمسَيْنا وبِكَ أصْبَحْنا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتٌُ وَإلَيْكَ النُّشُوْرُ

‘‘হে আল্লাহ্ তোমার অনুগ্রহে বিকাল করেছি এবং তোমার অনুগ্রহে সন্ধা করেছি, তোমার করুনায় জীবন লাভ করি এবং তোমার ইচ্ছায় আমরা মৃত্যু বরণ করবো, আর কিয়ামত দিবসে তোমার কাছেই পুনরত্থিত হতে হবো’’।

ঞ. একবার বা দুইবার অথবা তিনবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ إنِّيْ أصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيْعَ خَلْقِكَ بِأنَّكَ أنْتَ اللهُ لا إله إلا

أنتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَأنَّ محمداً عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ

‘‘হে আল্লাহ্! তোমার নামে আমি সকাল করেছি। তোমাকে সাক্ষী রাখছি, তোমার আরশ বহন কারী ফিরিস্তা,সকল ফেরেশতাকুল এবং তোমার সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ্, তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই, তুমি এক, তোমার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তোমার বান্দা ও রসূল’’।[3]

 

সন্ধার সময় দু’আটি এভাবে বলবেঃ

اللّٰهُمَّ إنِّيْ أمْسَيْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلاَئِكَتَكَ وَجَمِيْعَ خَلْقِكَ بِأنَّكَ أنْتَ اللهُ لا إله إلا أنتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَأنَّ محمداً عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ

‘‘হে আল্লাহ্! তোমার নামে আমি বিকাল করেছি। তোমাকে সাক্ষী রাখছি, তোমার আরশ বহন কারী ফিরিস্তা,সকল ফেরেশতাকুল এবং তোমার সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ্, তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই, তুমি এক, তোমার কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তোমার বান্দা ও রসূল’’।

ট. একবার এই দু’আটি বলবেঃ

اللهمَّ مَا أَصْبَحَ بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أوْ بِأحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ

‘‘হে আল্লাহ্! আমার কাছে তোমার যে নে’য়ামত সকালে আগমণ করেছে অথবা তোমার সৃষ্টি জগতের কারও কাছে আগমণ করেছে, তা সবই এককভাবে তোমার পক্ষ থেকেই। তোমার কোন শরীক নেই। সুতরাং কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসামাত্রই তোমার জন্য’’।

সন্ধার সময় উক্ত দু’আটি এভাবে বলবেঃ

اللّٰهُمَّ مَا أَمْسَى بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أوْ بِأحَدٍ مِّنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ

ঠ. একবার এই দু’আটি বলবেঃ

ياَ حَيُّ ياَ قَيُّومُ بِكَ أسْتَغِيْثُ فَأصْلِحْ لِيْ شَأنِيْ وَلاَ تَكِلْنِيْ إلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ

‘‘হে চিরঞ্জিব, চিরস্থায়ী তোমার কাছে আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি, সুতরাং আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে এবং এক পলকের জন্য হলেও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিওনা।

ড. তিনবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ لا إله إلا أنْتَ

‘‘হে আল্লাহ্! তুমি আমার দেহের নিরাপত্তা দান কর, শ্রবণ শক্তি ও দৃষ্টি শক্তিকে নিরাপদ রাখ। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ্ নেই’’।

ঢ. তিনবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ إنِّيْ أعُوذُ بِكَ مِنَ الكُفْرِ والْفَقْرِ وأعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لا إله إلا أنتَ

‘‘হে আল্লাহ্! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি ক্ববরের আযাব থেকে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ্ নেই’’।

ণ. একবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العاَفِيةَ فِيْ الدُّنْياَ والآخِرَةِ اللهمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العَفْوَ والعاَفِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ ودُنْيَايَ وَأهْلِيْ وماَلِيْ اللهمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وآمِنْ رَوْعاَتِيْ ، اللهمَّ احْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنَ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ ، وَعَنْ يَمِيْنِيْ وعَنْ شِماَلِيْ ، وَمِنْ فَوْقِيْ وَأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ اُغْتاَلَ مِنْ تَحْتِيْ

‘‘হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি, হে আল্লাহ্ আমি প্রার্থনা করছি তোমার কাছে ক্ষমা এবং আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার-পরিজন ও সম্পদের নিরাপত্তা। হে আল্লাহ্! আমার গোপন বিষয় সমূহ (দোষ-ত্রুটি) ঢেকে রাখ এবং আমাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রাখ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে হেফাযত কর আমার সম্মুখ থেকে, পিছন থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে এবং উপর দিক থেকে। আর তোমার মহত্বের উসিলা দিয়ে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিচ দিক থেকে মাটি ধ্বসে আমার আকস্মিক মৃত্যু হতে।

ত. একবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأرْضِ، عاَلِمَ الغَيْبِ وَالشَّهاَدَةِ ربَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيْكَهُ ، اَشْهَدُ أنْ لاإله إلا أنْتَ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ، وَشَرِّ الشَّيْطاَنِ وَشِرْكِهِ وأنْ أقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِيْ سُوْءً أوْ أجُرُّهُ إلَى مُسْلِمٍ

‘‘হে আল্লাহ্! তুমি আসমান-যমীনের সৃষ্টি কর্তা, তুমি গোপন-প্রকাশ্য সবকিছুই জান। তুমি সকল বস্ত্তর প্রভু এবং সব কিছুর মালিক, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তান ও তার শিরকের অনিষ্ট থেকে এবং আশ্রয় কামনা করছি নিজের উপর অন্যায় করা থেকে বা সে অন্যায় কোন মুসলিমের উপর চাপিয়ে দেয়া থেকে।

থ. একবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ


اللّٰهُمَّ إنَّيْ أسْأَلُكَ عِلْماً ناَفِعاً وَرِزْقاً طَيِّباً وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً

‘‘হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি উপকারী বিদ্যা, পবিত্র জীবিকা এবং মাকবুল (গ্রহণীয়) আমলের’’।[4]

 

দ. একবার এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ أنْتَ رَبِّيْ لا إله إلا أنتَ خَلَقْتَنِيْ وَأناَ عَبْدُكَ وأناَ على عَهْدِكَ، وَوَعْدِكَ ماَ اسْتَطَعْتُ، أعُوْذُبِكَ مِنْ

شَرِّ ملَ صَنَعْتُ، أبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأبُوءُ بِذَنْبِيْ، فاَغْفِرْ لِيْ فَإنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إلاَّ أنْتَ

‘‘হে আল্লাহ্! তুমি আমার প্রভু প্রতিপালক তুমি ছাড়া প্রকৃত পক্ষে ইবাদতের যোগ্য কোন সত্য ইলাহ্ নেই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে কৃত ওয়াদা-অঙ্গীকার রক্ষা করছি। আমার কৃত কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি, আমার প্রতি তোমার নেয়া’মত স্বীকার করছি এবং তোমার নিকট আমার পাপকর্মেরও স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমায় ক্ষমা কর, কেননা তুমি ছাড়া পাপরাশী অন্য কেউ ক্ষমা করতে পারেনা।

নাবী (ﷺ) বলেন- যে ব্যক্তি রাত্রে সূরা বাকারার শেষের আয়াত দু’টি পাঠ করবে, আয়াত দু’টি তার জন্য (ঐ রাতের জন্য) যথেষ্ট হবে।

দশবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবেঃ

اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلى محمدٍ وَعَلَى آلِ مُحمدٍ كَماَ صَلَّيْتَ على إبْراَهِيْمَ وَ على آلِ إبراهيمَ إنَّكَ حَميدٌ مجيدٌ

‘‘হে আল্লাহ্ তুমি রহমত নাযিল কর মুহাম্মাদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবার বর্গের উপর, যেমন তুমি রহমত নাযিল করেছো ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পরিবার বর্গের উপর, নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সম্মানিত’’।

[1]. মুসলিম, হাএ. হা/৬৭৭২, ইফা. হা/ ৬৬৩২, ইসে.হা/ ৬৬৮৬, আবু দাউদ, আলএ্র, হা/৩৮৯৮, সহীহ তিরমিযী, মাপ্র. হা/৩৪৩৭, মিশকাত, মাশা. হা/২৪২৩

[2]. আবু দাউদ, আলএ, হা/১৫২৯, সহীহ ইবনে হিববান, মাশা. হা/৫১৯, সিলসিলাতুস আহাদীসুস সহীহা লিল আলবানী, মাশা.হা/৩৩,

[3]. ইমাম আলবানী রহঃ) এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন, সিলসিলাহ যঈফা, মাশা. হা/১০৪১।

[4]. সহীহ ইবনে মাজাহ. মাশা. হা/৭৫৩, বাইহাক্বী, মাশা. হা/১৭৮২, মেশকাত, মাশা. হা/২৪৯৮, সহীহ, তাহ: আলবানী (রহ.)।