কুরবানী ও আকীকাহ সেই আট প্রকার পশুর দ্বারাই করতে হবে, যা সূরা আনআমে বর্ণিত হয়েছে।[1] এ ছাড়া অন্যান্য জন্তু দিয়ে কুরবানী করার কথা প্রমাণিত নেই। এই আট প্রকার জন্তুর কথা কুরআনের চারটি আয়াতের মধ্যে উল্লেখ আছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
أُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِيمَةُ الأنْعَامِ
‘‘তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ জমত্মু হালাল করা হয়েছে’’। (সূরা মায়েদা-৫:১) আল্লাহ্ তা‘আলা আরও বলেন-
لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الأنْعَامِ ‘‘যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌঁছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুষ্পদ জমত্মু যবেহ্ করার সময়’’। (সূরা হাজ্জ-২২:২৮) আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন-
وَمِنَ الأنْعَامِ حَمُولَةً وَفَرْشًا كُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللهُ وَلا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘‘তিনি সৃষ্টি করেছেন চতুষ্পদ জমত্মুর মধ্যে বোঝা বহনকারীকে এবং খর্বাকৃতিকে (ছোট আকৃতির জানোয়ার)। আল্লাহ্ তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন, তা থেকে খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে অবশ্যই তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা আনআম-৬:১৪২) আল্লাহ্ তা‘আলা আরও বলেন-
وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ
‘‘তোমাদের মধ্যে যে জেনে শুনে শিকার হত্যা করবে, তার উপর বিনিময় ওয়াজিব হবে, যা সমান হবে ঐ জন্তুর, যাকে সে বধ করেছে। দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এর ফয়সালা করবে- বিনিময়ের জন্তুটি উৎসর্গ হিসেবে কাবায় পৌছাতে হবে’’।[2] এ থেকে জানা গেল যে, এই আট প্রকার জন্তুই কাবা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এই আয়াত থেকে আলী বিন আবু তালেব এভাবেই দলীল গ্রহণ করেছেন।
ইবাদতের জন্য যে সমস্ত যবেহ করা হয়, তা তিন প্রকার। (১) হাজীগণের কুরবানী (হাদী)। (২) ঈদুল আযহার কুরবানী এবং (৩) আকীকাহ।
অর্থাৎ (নর-মাদী চার) জোড়ায় আট প্রকার, মেষের দু’টি, ছাগলের দু’টি। বল, তিনি কি নর দু’টি হারাম করেছেন, না মাদী দু’টি কিংবা মাদী দু’টির গর্ভে যা আছে তা? এ সম্পর্কিত জ্ঞানের ভিত্তিতে জবাব দাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। আর উটের দু’টি, আর গরুর দু’টি। বল, এদের নর দু’টি কি তিনি হারাম করেছেন, না মাদী দু’টি অথবা মাদী দু’টির গর্ভে যা আছে তা? তোমরা কি তখন উপস্থিত ছিলে যখন আল্লাহ এ রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন? (সূরা আনআম-৬:১৪৩-১৪৪)
[2]. সূরা মায়েদা-৫:৯৫