সেই রাতে আয়িশা (রাঃ) আকাঙ্খা করলেন যে, তিনি যেন তাঁকে আলাদাভাবে একটি উমরাহ করার সুযোগ দান করেন। তিনি তাঁকে বললেন যে, কাবা ঘরের তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ হাজ্জ এবং উমরাহ- উভয়ের জন্যই যথেষ্ট। কিন্তু তিনি স্বীয় অবস্থানে অনড় থাকলেন এবং আলাদাভাবে উমরাহ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করলেন। তাই নাবী (ﷺ) আয়িশা (রাঃ) এর ভাই আব্দুর রহমান বিন আবু বকরকে আদেশ দিলেন, তিনি যেন তাঁকে তানঈম থেকে উমরাহ করান। তিনি রাতেই উমরাহ সম্পন্ন করলেন। অতঃপর মধ্যরাতে আয়িশা (রাঃ) তাঁর ভাইয়ের সাথে মুহাস্সাবে পৌঁছলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন- তোমরা কি উমরাহ শেষ করেছ? তিনি বললেন- হ্যাঁ শেষ করেছি। অতঃপর তিনি কাফেলাকে যাত্রা করার হুকুম দিলেন। লোকেরা যাত্রা শুরু করল।
সহীহ বুখারীতে আসওয়াদ হতে বর্ণিত আয়িশা (রাঃ) এর হাদীছে এসেছে, তিনি বলেন- অতঃপর রসূল (ﷺ) আমার সাথে সাক্ষাত করলেন। তখন তিনি মক্কা হতে বের হচ্ছিলেন এবং আমি তাতে প্রবেশ করছিলাম। কিংবা তিনি প্রবেশ করছিলেন আর আমি বের হচ্ছিলাম। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তারা উভয়ে রাস্তায় সাক্ষাৎ করেছেন। পূর্বের বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, নাবী (ﷺ) তাঁবুতে আয়িশা (রাঃ) এর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আসওয়াদের হাদীসটি যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে সঠিক কথা হচ্ছে, তিনি আমার সাথে সাক্ষাত করলেন। তখন আমি মক্কা হতে বের হচ্ছিলাম আর তিনি মক্কার দিকে যাচ্ছিলেন। কেননা তিনি উমরাহ শেষ করে রসূল (ﷺ) এর সাথে নির্দিষ্ট স্থানে সাক্ষাতের জন্য উপরে উঠছিলেন। তখন আয়িশা (রাঃ) তাঁর সাথে এমন সময় সাক্ষাত করলেন যখন তিনি বিদায়ী তাওয়াফের জন্য মক্কার দিকে নামছিলেন। এই ঘটনাকে অন্যভাবেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মুহাস্সাবে অবস্থান করা কি সুন্নাত? না ঘটনাক্রমে এখানে রসূল (ﷺ) অবস্থান করেছেন? এ সম্পর্কে দু’টি মত পাওয়া যায়।
কেউ কেউ বলেছেন, এটি হজ্জের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। আবার কেউ বলেছেন, এখানে রসূল (ﷺ) ঘটনাক্রমে অবস্থান করেছেন; সুন্নাত হিসাবে নয়।