তিনি যত উমরাহ করেছেন, তার সবগুলোই আপন স্থান থেকে মক্কায় প্রবেশ করেই আদায় করেছেন। এমনটি প্রমাণিত নেই যে, তিনি মক্কাতে ছিলেন এবং উমরার ইহরাম বাঁধার জন্য বাইরে গিয়েছেন অতঃপর উমরাহ আদায় করেছেন। যেমনটি বর্তমান সময়ের অনেক মানুষ করে থাকে। বরং তিনি সব উমরাহ আপন স্থান থেকে মক্কায় গিয়েই করেছেন। নবুওয়াত পাওয়ার পর ১৩ বছর মক্কায় ছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে একবারও হারামের বাইরে গিয়ে এহরাম বেঁধে মক্কায় এসে উমরাহ করেছেন বলে প্রমাণিত নেই।
নাবী (ﷺ) জীবিত থাকতে তাঁর কোন সাহাবী কখনও এমন কাজ করেন নি। শুধু আয়িশা (রাঃ) কে একবার তানঈম থেকে ইহরাম বেঁধে উমরাহ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কারণ তিনি বিদায় হজ্জের বছর প্রথমে উমরার এহরাম বেঁধেছিলেন।
অতঃপর তাঁর মাসিকের রক্তস্রাব শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে সাথের লোকদের সাথে উমরাহ করতে পারেন নি। তাই তিনি নাবী (ﷺ) এর আদেশে কিরান হজ্জের নিয়ত করে ফেললেন। নাবী (ﷺ) তাকে বললেন যে, তিনি যেহেতু কাবা ঘরের তাওয়াফ করেছেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করেছেন তাই তাঁর হাজ্জ ও উমরাহ উভয়টিই হয়েছে। তাঁর সাথীগণ যেহেতু তামাত্তুকারী ছিলেন এবং তাদের কারও হায়েয শুরু হয় নি বলে কিরান হজ্জেও প্রবেশ করেন নি, তাই তারা আলাদাভাবে হাজ্জ ও উমরাহসহ ফেরত যাচ্ছেন দেখে আয়িশা (রাঃ) মনে কষ্ট পেলেন। কারণ তিনি পৃথক উমরাহ করতে পারেন নি। বরং হজ্জের সাথে মিলিয়ে যে উমরাটি করেছিলেন তিনি কেবল তা নিয়েই ফেরত যাচ্ছেন। তাই রসূল (ﷺ) আয়িশা (রাঃ) এর মনকে খুশী করার জন্য তাঁর ভাই আব্দুর রহমান বিন আবু বকরকে আদেশ দিলেন, তিনি যেন তাকে তানঈম থেকে একটি উমরা করান।
হজ্জের মাসগুলোতেই তিনি সবগুলো উমরাহ করেছেন। এটি ছিল মুশরিকদের সাধারণ অভ্যাসের বিপরীত। কেননা তারা হজ্জের মাসগুলোতে উমরাহ করাকে অপছন্দ করত। এতে প্রমাণিত হয় যে নিঃসন্দেহে হজ্জের মাসগুলোতে উমরাহ করা রজব মাসে উমরাহ করার চেয়ে অনেক উত্তম।