যে সমস্ত কারণে সিয়াম ভেঙে যায়
যে সমস্ত কারণে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায় তার মধ্যে রয়েছে,
১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করা।
২. শিঙ্গা লাগানো।
৩. ইচ্ছাকৃত বমি করা।
৪. স্ত্রী সহবাস করা। স্ত্রী সহবাস করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কুরআনেই উল্লেখ আছে। চোখে সুরমা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হবেনা।
নাবী (ﷺ) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি সিয়াম অবস্থায় মিসওয়াক করতেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বলেন- নাবী (ﷺ) সিয়াম অবস্থায় মাথায় পানি ঢালতেন, নাকে পানি দিতেন এবং কুলি করতেন। তবে তিনি নাকে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি ঢুকাতে নিষেধ করেছেন। সিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানোর বিষয়টি সহীহ সূত্রে তার থেকে বর্ণিত হয় নি।[1]
ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন- এক বর্ণনায় এসেছে, সায়িম চোখে সুরমা লাগানো থেকে বিরত থাকবে। তবে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে এই বর্ণনাটি সহীহ নয়। ইবনে মাঈন বলেন- হাদীসটি মুনকার (যঈফ)।
[1]. সিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হবে কি না? এ ব্যাপারে আলেমদের মতভেদ রয়েছে। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ও পরবর্তী যামানার কতিপয় আলেমের মতে সিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। তাদের দলীল হচ্ছে أفطر الحاجم والمحجوم অর্থাৎ যে শিঙ্গা লাগিয়ে দিল এবং যাকে লাগানো হল তাদের উভয়েরই সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে অধিকাংশ আলেমের মতে শিংগা লাগালে সিয়ামর কোন ক্ষতি হবেনা। এটিই ইমাম আবু হানিফা, মালেক ও ইমাম শাফেঈ রহঃ) এর মত। আল্লামা আব্দুল আযীব বিন বায রহঃ) বলেনঃ রাত পর্যন্ত দেরী করে শিংগা লাগানোই উত্তম অর্থাৎ সিঙ্গা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হবেনা। তাদের দলীল হচ্ছে, ্রعَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ وَاحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌمام)) (২/৩৩০). ، والمالكية ((المدونة)) (১/২৭০)، التاج والإكليل للمواق (২/৪৪১). قال ابن عبدالبر: (وهو قول الثو
‘‘আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নাবী সাঃ) সিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন’’। (বুখারী তাও. হা/১৯৩৮, ও মুসলিম)।
প্রথম দলের দলীলের জবাবে আলেমগণ বলেনঃ শিংগা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে বলে যে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, তা রহিত হয়ে গেছে। দেখুনঃ ফাতহুল বারী (৪/১৫৫)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নাবী সাঃ) সিয়ামদারকে শিংগা লাগানোর অনুমতি দিয়েছেন। সুতরাং অনুমতি গ্রহণ করা আবশ্যক। কেননা কোন জিনিস নিষিদ্ধ হওয়ার পরই তা করার অনুমতি দেয়া হয়। সুতরাং এটিই প্রমাণ করে যে, শিঙ্গা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার হুকুম মানসুখ তথা রহিত হয়ে গেছে। আল্লাহই ভাল জানেন।
‘‘আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নাবী সাঃ) সিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন’’। (বুখারী তাও. হা/১৯৩৮, ও মুসলিম)।
প্রথম দলের দলীলের জবাবে আলেমগণ বলেনঃ শিংগা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে বলে যে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, তা রহিত হয়ে গেছে। দেখুনঃ ফাতহুল বারী (৪/১৫৫)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নাবী সাঃ) সিয়ামদারকে শিংগা লাগানোর অনুমতি দিয়েছেন। সুতরাং অনুমতি গ্রহণ করা আবশ্যক। কেননা কোন জিনিস নিষিদ্ধ হওয়ার পরই তা করার অনুমতি দেয়া হয়। সুতরাং এটিই প্রমাণ করে যে, শিঙ্গা লাগালে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার হুকুম মানসুখ তথা রহিত হয়ে গেছে। আল্লাহই ভাল জানেন।