নাবী (ﷺ) এর পবিত্র সুন্নাত ছিল যে, চাঁদ উঠার খবরটি প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অথবা কমপক্ষে এক জনের সাক্ষীর উপর ভিত্তি না করে রমযান মাসের সিয়াম রাখা শুরু করতেন না। নিজে চাঁদ না দেখলে কিংবা কোন সাক্ষী পাওয়া না গেলে শাবান মাসকে ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে হবে। শাবান মাসের ২৯তম রাতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে যদি চাঁদ দেখা না যেত, তাহলে তিনি শাবান মাসকে ত্রিশ দিনের মাধ্যমে পূর্ণ করতেন। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে অর্থাৎ সন্দেহের দিনে তিনি সিয়াম রাখতেন না এবং সাহাবীদেরকে সিয়াম রাখার আদেশও দিতেন না; বরং শাবান মাসকে ত্রিশ দিনে পূর্ণ করতে বলেছেন। আর এটি নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ
فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তোমরা অনুমান করে নাও-এর বিরোধী নয়।[1] কেননা এখানেও অনুমান করে ত্রিশ দিন নির্ধারিত করতে বলা হয়েছে।
রমযান মাসের আগমণ ও চাঁদ উঠা প্রমাণিত হওয়ার জন্য একজনের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হলেও রমযান মাসের পরিসমাপ্তি প্রমাণিত হওয়ার জন্য দুই জনের সাক্ষ্য দেয়া জরুরী। ঈদের সলাতের সময় চলে যাওয়ার পরও যদি দুইজন লোক সাক্ষ্য দিত তাহলে তিনি রোযা ছেড়ে দিয়ে খেয়ে নেয়ার আদেশ দিতেন। তবে পরের দিন ঈদের সলাতের সময়েই তা আদায় করতেন।
তিনি সূর্য অস্ত যাওয়ার পরপরই দ্রুত ইফতার করতেন এবং এর উপরই লোকদেরকে উৎসাহ দিতেন। তিনি সেহরী খেতেন এবং সেহরী খাওয়ার প্রতি সকলকে উৎসাহ দিতেন। তিনি বিলম্বে সেহরী খেতেন এবং বিলম্বে খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দিতেন। তিনি খেজুর দিয়ে ইফতার করার জন্য উৎসাহ দিতেন। তা পাওয়া না গেলে পানি দ্বারা ইফতার করতে বলতেন।
নাবী (ﷺ) সায়িমকে স্ত্রী সহবাস, শোরগোল, কাউকে গালি দেয়া, গালির জবাবে গালি দিতে নিষেধ করেছেন। কেউ গালি দিলে গালি প্রদত্ত ব্যক্তিকে এ কথা বলতে বলেছেন যে, আমি সায়িম।