তিনি লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী দানশীল ছিলেন। সাদকাহ ও দানের ক্ষেত্রে তাঁর পবিত্র সুন্নাত ছিল যে, তাঁর কাছে কোন সম্পদ আসলে সাথে সাথে তা দান করে দিতেন, নিজের কাছে রেখে দিতেন না। কেউ তাঁর কাছে কোন কিছু চাইলে তা যদি তাঁর কাছে থাকত, তাহলে তিনি তা দান করতেন। কম হোক বা বেশী হোক। তাঁর কাছ থেকে দান গ্রহণকারী কিছু পেয়ে যতটা খুশী না হতেন দান করতে পেরে তিনি তার চেয়ে অধিক খুশী হতেন। কোন অভাবী লোক তাঁর কাছে আসলে তিনি সেই অভাবীকে নিজের উপর প্রাধান্য দিতেন। কখনও তিনি নিজের খাদ্য, আবার কখনও নিজের পরিধেয় বস্ত্র অভাবীকে দিয়ে দিতেন।
তিনি বিভিন্ন প্রকারের দান করতেন। কখনও তিনি হাদীয়া স্বরূপ দান করতেন, কখনও সাদকাহ করতেন আবার কখনও হিবাহ (দান) করতেন। কখনও তিনি কোন জিনিষ ক্রয় করতেন। অতঃপর বিক্রেতাকে ক্রয়কৃত দ্রব্য ও মূল্য উভয়ই দিয়ে দিতেন। কখনও তিনি ঋণ নিতেন এবং পরিশোধের সময় তার চেয়ে বেশী দান করতেন। তিনি যখন হাদীয়া গ্রহণ করতেন তখন কোন না কোনভাবে তার বদলা দিতেন। তিনি কথার মাধ্যমে, কাজের মাধ্যমে, দানের মাধ্যমে এবং সকল প্রকার লেনদেন ও আচরণের মাধ্যমে অপরের প্রতি অনুগ্রহ করতেন। কখনও তিনি নিজ থেকে দান করতেন। আবার কখনও অপরকে সাদকাহ করার আদেশ দিতেন এবং উৎসাহ দিতেন। কৃপণ লোকেরা দানের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থা দেখে দান করার প্রতি উৎসাহ পেত। তাঁর সাথে যারা মিশতেন তারাও বদান্যতার গুণে গুণান্বিত হতেন। তাঁর বক্ষ খুব প্রশস্ত ছিল, স্বভাব-চরিত্র খুব পবিত্র ছিল।
বক্ষ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে দান-সাদকাহ ও সদাচরণের বিরাট প্রভাব রয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা রিসালাত ও তার বৈশিষ্টের মাধ্যমেও তাঁর বক্ষকে প্রশস্ত করে দিয়েছেন। বাহ্যিকভাবে আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বক্ষকে খুলে তা থেকে শয়তানের অংশ বের করে দিয়েছেন।