সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁর পাশ দিয়ে জানাযা বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাহাবীদেরকে দাঁড়াতে বলেছেন।[1] সহীহ সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যে, পাশ দিয়ে জানাযা অতিক্রম করার সময় তিনি বসেই ছিলেন। বলা হয়েছে যে, দাঁড়ানোর হুকুম রহিত হয়ে গেছে। আরও বলা হয় যে, উভয়টিই জায়েয। দাঁড়ানো মুস্তাহাব আর বসে থাকা জায়েয। এভাবে ব্যাখ্যা করাই উত্তম।
সূর্য ঠিক উদয়ের সময়, অসেত্মর সময় এবং দ্বিপ্রহরের সময় যখন সূর্য মাথার উপর থাকে তখন মৃতকে দাফন করা তাঁর পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। লাহাদ[2] (বগলী কবর) খনন করা এবং তা গভীর করা তাঁর পবিত্র সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মাথা ও পায়ের দিকে কবরকে প্রশস্ত করার আদেশ দিতেন। বর্ণিত হয়েছে যে, মাইয়্যেতকে কবরে রাখার সময় তিনি বলতেন-
بِاسْمِ اللهِ وَبِاللهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللهِ
অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বলতেন-
بِسْمِ اللهِ وَفِى سَبِيلِ اللهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللهِ
অন্য বর্ণনায় আছে-
بِاسْمِ اللهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللهِ
সবগুলো বাক্যের অর্থ হচ্ছে, আমরা এই মাইয়্যেতকে আল্লাহর নামে, আল্লাহর রাস্তায় এবং রসূলের সুন্নাতের উপর দাফন করছি।[3] তাঁর থেকে বর্ণিত আছে যে, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের সময় তিনি মাথার দিকে তিন অঞ্জলি মাটি রাখতেন।[4] তিনি যখন দাফন শেষ করতেন তখন সাহাবীগণসহ কবরের পাশে দাঁড়াতেন এবং মাইয়্যেতকে সঠিক কথার উপর প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করতেন এবং সাহাবীদেরকে তা করার আদেশও দিতেন। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা‘আলা যেন তাকে সঠিকভাবে কবরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দানের তাওফীক দান করেন।
[2]. লাহাদ কবর হচ্ছে গভীর করে কবর খনন করার পর লাশ রাখার জন্য গর্তের কিবলার দিকে লাশের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী লম্বা গর্ত খনন করা এবং সেখানে লাশ রাখার পর সিন্দুকের মত খনন কৃত গর্তটি মাটি দ্বারা ভর্তি করে দেয়া। মাটির ধরণ বুঝে এমনটি করা সম্ভব হলে তাও করা চলে। আমাদের সমাজে প্রচলিত সিন্দুক আকারের কবর খনন করাও বৈধ। এতে কোন অসুবিধা নেই। তবে সর্বাবস্থায় সাধ্যানুযায়ী কবর গভীর করা সুন্নাত। বগলী বা সিন্দুক কবরের ব্যাপারটির অবস্থার উপর নির্ভরশীল। যেখানে শক্ত ও সুদৃঢ় মাটি থাকবে সেখানকার জন্য বগলী কবর প্রযোজ্য। অন্যথায় সিন্দুকী কবরই ভাল। নাবী সাঃ) বলেনঃ اللَحَدُ لَنَا وَالشَّقُّ لِغَيْرِنَا আমাদের জন্য (মদীনা বাসীদের জন্য) বগলী কবর। আর অন্যদের জন্য সিন্দুকী কবর।(আবু দাউদ, আলএ. হা/৩২০৮ সহীহ আত-তিরমিযী, মাপ্র. হা/১০৪৫, মিশকাত, হাএ. হা/ ১৭০১)
[3]. সহীহ আত-তিরমিযী, মাপ্র. হা/১৪৬ সহীহ ইবনে হিববান, মাশা. ১০/৩৫৩, পৃ. সহীহ : আলবানী। তবে সুসাব্যস্ত বাক্য সর্বশেষটি। ।
[4]. সহীহ ইবনে মাজাহ, হা/ ১২৭১, ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন।