তিনি পুরুষ মাইয়্যেতের মাথা বরাবর দাঁড়াতেন এবং মহিলা মাইয়্যেতের মাঝামাঝি দাঁড়াতেন। তিনি শিশুর উপরও জানাযা সলাত পড়তেন। আত্মহত্যাকারীর উপর তা পড়তেন না। গণীমতের মাল খেয়ানতকারীর উপরও না। শরীয়তের দন্ডবিধি কার্যকর করে যেমন জেনার অপরাধে যাকে রজম করে হত্যা করা হয়েছে তার উপর জানাযা পড়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে জুহাইনা গোত্রের যে মহিলাটিকে রজম করা হয়েছিল তার উপর তিনি জানাযা সলাত পড়েছেন। মায়েয (রাঃ) এর জানাযা পড়া বা না পড়ার ব্যাপারে পরস্পর বিরোধপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে। আসলে উভয় বর্ণনার শব্দের মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই। উভয়ের মাঝে সমন্বয় এভাবে করা যেতে পারে যে, কেননা জানাযা সলাতের উদ্দেশ্য হল মাইয়্যেতের জন্য দু’আ করা। তিনি তাঁর উপর সলাতে জানাযা পড়া ছেড়ে দিলেও দু’আ ঠিকই করেছেন। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে বুখারী ও মুসলিমে। যেনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য এবং অন্যদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য তিনি মায়েযের জানাযা পড়া বাদ দিয়েছেন।
আর যদি ধরেও নেয়া হয় যে, মায়েয (রাঃ) এর হাদীছের শব্দের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে তাহলে এই হাদীসকে বাদ দিয়ে অন্য হাদীছের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আর বিশুদ্ধ ও বিরোধমূক্ত হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি গামেদী ও জুহানী গোত্রের মহিলার উপর জেনার শাস্তি কায়েম করার পর জানাযা সলাত পড়েছেন।[1] সুতরাং শরীয়তের নির্ধারিত দন্ডবিধি কায়েম করে কোন মুসলিমকে হত্যা করার পর তার জানাযা সলাত পড়া শরীয়ত সম্মত।