জুমআর দিন ঈদ হলে তিনি লোকদের জন্য ঐ দিনের জুমআর সলাতে না আসার অনুমতি দিয়েছেন এবং ঈদের সলাতকেই যথেষ্ট বলে ঘোষণা দিয়েছেন। (তবে যোহরের সলাত আদায় করতে হবে এবং মসজিদে জুমআর সলাত অবশ্যই পড়ানো হবে)

ঈদের দিন তিনি এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরত আসতেন।

যুল-হাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন তিনি বেশী করে দু’আ করতেন এবং তাঁর সাহবীদেরকেও অধিক পরিমাণ তাকবীর, তাহমীদ এবং তাহলীল পাঠ করার আদেশ দিতেন। বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি আরাফা দিবসের ফজরের সলাতের পর থেকে তাকবীর শুরু করতেন এবং আইয়্যামে তাশরীকের (কুরবানীর) শেষ দিন পর্যন্ত তা চালু রাখতেন। তাকবীরের শব্দগুলো ছিল এ রকমঃ

اللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ وَ ِللهِ الْحَمْدُ

এই শব্দগুলো দিয়ে তাকবীর পাঠ করার হাদীসটি সহীহ না হলেও[1] এর উপরই আমল চালু হয়ে গেছে। এখানে আল্লাহু আকবার দুইবার এসেছে। প্রথমে তিনবার আল্লাহু আকবার বলা জাবের এবং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর আমল ছিল। তবে উভয় শব্দে পড়াই মুস্তাহাব। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন- নিম্নের বাক্যে তাকবীর পাঠ করলেও উত্তম হবে। বাক্যগুলো হচ্ছে এই-

اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার কাবীরান ওয়াল হামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা।

[1]. ইরওয়াউল গালীল, মাশা.৩/১২৮, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, মাশা. হা/৫৬৯৭, সহীহ, যাদুল মা‘আদ, মাশা. পৃ. ২/৩৯৫ অন্যান্য মুহাদ্দিছদের নিকট সহীহ সাব্যস্ত হয়েছে। তাই হাদীসের দুআ মনে করে নির্দ্বিধায় পাঠ করা চলে।