ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক আব্দুর রহমান বিন কাব বিন মালেক থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন- আমার পিতা অন্ধ হয়ে গেলে আমিই তাঁকে নিয়ে সলাতে যেতাম। আমি যখন তাঁকে নিয়ে জুমআর সলাতে যেতাম তখন তিনি আযান শুনে আবু উমামাহ আসআদ বিন যুরারার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আমি যখন তার কাছ থেকে আসআদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার কথা শুনতাম তখন মনে মনে বলতাম- অবশ্যই এ ব্যাপারে আমি তাকে জিজ্ঞেস করবোঃ কেন তিনি তা করেন। সুতরাং একদা জুমআর দিন এমনটি করার সময় তাকে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আমার পিতা! প্রত্যেকবার জুমআর আযান শুনেই আপনি আসআদ বিন যুরারার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন কেন? তিনি বললেন- হে বৎস! শুন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর মদ্বীনায় আগমণের পূর্বে আসআদ আমাদেরকে সর্বপ্রথম বনী বায়াযার ‘হাযমুন নাবিত’ নামক স্থানে জুমআর সলাতে একত্রিত করেছিলেন। এই স্থানটিকে ‘নাকীউল খাযমাত’ বলা হয়। আব্দুর রহমান বিন কাব বলেন- আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা সেদিন সংখ্যায় কতজন ছিলেন? তিনি বললেন- চল্লিশজন পুরুষ।
ইমাম বায়হাকী (রহঃ) বলেন- এই হাদীসটি হাসান। এর সনদ সহীহ। অতঃপর রসূল (ﷺ) মদ্বীনায় আসলেন। কুবায় এসে সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এই চার দিন অবস্থান করলেন। কুবার অধিবাসীদের জন্য তাদের মসজিদ নির্মাণ করলেন। জুমআর দিন তিনি কুবা থেকে বের হলেন। বনী সালেম বিন আওফ গোত্রের নিকট আসতেই জুমআর সলাতের সময় হয়ে গেল। সেখানের উপত্যকায় অবস্থিত মসজিদেই তিনি জুমআর সলাত পড়লেন। এটি ছিল মসজিদে নববী নির্মাণ করার পূর্বে।