সহীহ বুখারীতে আয়শা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- আমি কখনও নাবী (ﷺ) কে চাশতের সলাত পড়তে দেখিনি। তবে আমি তা পড়ি। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন- আমার বন্ধু রসূল (ﷺ) আমাকে প্রত্যেক মাসে তিন দিন সিয়াম রাখার, দুই রাকআত চাশতের সলাত পড়ার এবং ঘুমানোর পূর্বে বিতর সলাত পড়ার আদেশ দিয়েছেন। সহীহ মুসলিমে যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) হতে মারফু হিসাবে বর্ণিত হয়েছে যে, দিবসের উত্তাপ বেড়ে গেলে সালাতুল আওয়াবীন (চাশতের) সলাতের সময় হয়। তিনি তা পড়ার উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি যেহেতু তাহাজ্জুদ পড়তেন, তাই তিনি এই সলাত পড়েন নি। মাসুরক (রহঃ) বলেন- আমরা মসজিদে সলাত পড়তাম। আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ সলাত পড়ে চলে গেলে মসজিদেই থেকে যেতাম। অতঃপর চাশতের সলাত পড়তাম। এই খবর ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেন- হে আল্লাহর বান্দাগণ! আল্লাহ তোমাদের উপর যেই বোঝা চাপিয়ে দেন নি, তোমরা কেন তা বহন করতে যাচ্ছ? তোমরা যদি তা পড়তেই চাও, তাহলে তোমরা তা ঘরের মধ্যে পড়। সাঈদ বিন যুবায়ের (রাঃ) বলেন- আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও আমি এই আশঙ্কায় চাশতের সলাত ছেড়ে দেই, যাতে আমার উপর তা আবশ্যক হয়ে না যায়।