তিনি কখনও তাঁর নাতনী উমামা বিনতে যাইনাবকে কাঁধে নিয়ে ফরজ সলাত পড়তেন। দাঁড়ানো অবস্থায় তিনি মেয়েটিকে কাঁধে বহন করে রাখতেন এবং রুকু-সিজদাহ অবস্থায় নামিয়ে রাখতেন।[1] তিনি সলাতরত থাকতেন। এমন সময় হাসান ও হুসাইন এসে তাঁর পিঠে আরোহন করত। তাদেরকে পিঠ থেকে নামিয়ে দেয়া অপছন্দ করতেন বলেই তিনি সিজদাহ দীর্ঘ করতেন। তিনি নফল সলাতে থাকা অবস্থায় আয়িশা (রাঃ) আগমণ করলে তিনি অগ্রসর হয়ে তাঁর জন্য দরজা খুলে দিতেন। অতঃপর তিনি সলাতের মুসাল্লায় ফেরত যেতেন। সলাতে তিনি হাতের ইশারায় সালামের জবাব দিতেন। সলাত অবস্থায় ইশারা করলে দ্বিতীয়বার সলাত পড়তে হবে বলে যে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে তা বানোয়োট হাদীস। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, প্রয়োজন বশত তিনি সলাতরত অবস্থায় ফুঁ দিয়ে সিজদার জায়গা পরিষ্কার করতেন এবং কাশি দিতেন। তিনি কখনও সলাতে ক্রন্দন করতেন।

[1]. বুখারী, অধ্যায়ঃ সলাত অবস্থায় কোন ছোট মেয়েকে ঘাড়ে বহন করা বৈধ।