নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো বৈধঃ
(১) গোসল করতে পারবে। পরনের ইহরামের কাপড় বদলিয়ে আরেক জোড়া ইহরাম পরতে পারবে, ময়লা হলে কাপড় ধৌত করা যাবে।
(২) ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো, ফোঁড়া গালানো, দাঁত উঠানো ও অপারেশন করা যাবে।
(৩) মোরগ, ছাগল, গরু, উট ইত্যাদি জবাই করতে পারবে এবং পানিতে মাছ ধরতে পারবে।
(৪) মানুষের জন্য ক্ষতিকারক প্রাণী যেমনঃ কুকুর, চিল, কাক, ইঁদুর, সাপ, বিচ্ছু, মশা, মাছি ও পিঁপড়া মারা যাবে। (নাসাঈ ২৮৩৫)
خَمْسٌ مِنْ الدَّوَابِّ لاَ جُنَاحَ فِي قَتْلِهِنَّ عَلَى مَنْ قَتَلَهُنَّ فِي الْحَرَمِ وَالإِحْرَامِ الْفَأْرَةُ وَالْحِدَأَةُ وَالْغُرَابُ وَالْعَقْرَبُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ
পাঁচ ধরনের প্রাণীকে হারামে ইহরাম অবস্থায় হত্যা করলে হত্যাকারীর কোন গুনাহ হবে না। সেগুলো হলঃ ইদুর, চিল, কাক, বিচ্ছু ও হিংস্র কুকুর।
(৫) প্রয়োজন হলে আস্তে আস্তে শরীর চুলকানো যাবে।
(৬) বেল্ট, আংটি, ঘড়ি, চশমা পরতে পারবে।
(৭) যেকোন ছায়ার নীচে বসতে পারবে।
(৮) সুগন্ধযুক্ত না হলে সুরমা ব্যবহার করা যাবে।
(৯) মেয়েরা সেলাইযুক্ত কাপড় পরতে পারবে এবং অলংকারও ব্যবহার করতে পারবে।
(১০) ইহরাম অবস্থায় পুরুষেরাও ছোটখাট সেলাই কাজ করতে পারবে।
(১১) কোমরের বেল্টে টাকাপয়সা ও কাগজপত্র রাখতে পারবে।
(১২) ডাকাত বা ছিনতাইকারী দ্বারা আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার্থে আক্রমণকারীকে হত্যাও করা যাবে। আর নিজে নিহত হলে শহীদ হবে। এ উদ্দেশ্যে অস্ত্রও বহন করা যাবে।
(১৩) ইহরাম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে ইহরামের কোন ক্ষতি হয় না।