চতুর্দশ প্রশ্ন: ঐসব স্বর্ণের দোকানের মালিকদের অধীনে কাজ করার বিধান কী, যারা শরী‘য়ত পরিপন্থী পদ্ধতিতে লেনদেন করে, চাই তা সুদের ভিত্তিতে হউক, অথবা অবৈধ আপকৌশলের মাধ্যমে হউক, অথবা হউক তা প্রতারণার মাধ্যম, অথবা এর বাইরে শরী‘য়ত পরিপন্থী অন্য যে কোন প্রকারের লেনদেন হউক না কেন?

উত্তর: ঐসব মালিকদের অধীনে কাজ করা হারাম, যারা সুদের ভিত্তিতে অথবা প্রতারণার মাধ্যম অথবা অনুরূপ যে কোনো প্রকার হারাম পন্থায় লেনদেন করে; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ ﴾ [المائ‍دة: ٢]

“আর তোমরা পাপকাজ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না।”[1] তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أَنۡ إِذَا سَمِعۡتُمۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكۡفَرُ بِهَا وَيُسۡتَهۡزَأُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُواْ مَعَهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦٓ إِنَّكُمۡ إِذٗا مِّثۡلُهُمۡۗ ﴾ [النساء: ١٤٠]

“কিতাবে তোমাদের প্রতি তিনি তো নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াত প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে এবং তা নিয়ে বিদ্রূপ করা হচ্ছে, তখন যে পর্যন্ত তারা অন্য প্রসংগে লিপ্ত না হবে তোমরা তাদের সাথে বসো না, নয়তো তোমরাও তাদের মত হবে।”[2]

আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ , فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ , فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ » . ( رواه مسلم ) .

“তোমাদের কেউ যখন কোন খারাপ কাজ হতে দেখে, তখন সে যেন তা হাত দিয়ে (শক্তি প্রয়োগে) বন্ধ করে দেয়; যদি সে এ ক্ষমতা না রাখে, তবে যেন মুখের দ্বারা (জনমত গঠন করে) তা বন্ধ করে দেয়; আর যদি সে এ ক্ষমতাটুকুও না রাখে, তবে যেন সে অন্তরের দ্বারা (পরিকল্পিত উপায়ে) তা বন্ধ করার চেষ্টা করে বা এর প্রতি ঘৃণা পোষণ করে।”[3] আর কর্মচারী তাদের নিকটে থেকে তার হাত, মুখ ও অন্তর- কোনটা দ্বারাই তা বন্ধ করতে পারবে না; ফলে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবাধ্য বলে বিবেচিত হবে।


[1] সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ২

[2] সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৪০

[3] মুসলিম র. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ১৮৬