১২ জিলহজ্জ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের সময় শুরু হয়। চলতে থাকে দিবাগত রাতে সুবহে সাদেক উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত। ১১ তারিখের মত ১২ তারিখেও তিন জামরাতে, একই নিয়মে, কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। জামরাতুল উলা ও জামরাতুল উস্তায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর কেবলামুখী হয়ে যথা সম্ভব দীর্ঘক্ষণ দোয়া করবেন। শেষ জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর হাত উঠিয়ে দোয়া করার বিধান নেই। তবে যদি ১২ তারিখেই কঙ্কর মারা শেষ করতে চান তবে বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পর মনে মনে অথবা মুখে উচ্চারণ করে বলতে পারেন, ‘হে আল্লাহ এই হজ্জকে হজে মাবরুর বানাও, ও গুনাহ ক্ষমা করে দাও’
اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ حَجًّا مَبْرُوْرًا وَذَنْبًا مَغْفُوْرًا[1]
১২ তারিখ কঙ্কর মারার প্রথম ওয়াক্তে প্রচন্ড ভিড় থাকে। তাই একটু দেরি করে বিকালের দিকে যাবেন। ১২ তারিখেই কঙ্কর-নিক্ষেপ পর্ব শেষ করা যায়। তবে ১২ তারিখ দিবাগত রাতে মিনায় থেকে গিয়ে ১৩ তারিখ কঙ্কর নিক্ষেপ করতে পারলে ভালো। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)১৩ তারিখে কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করেছিলেন। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে,
‘فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ لِمَنْ اتَّقَى
-যদি কেউ তাড়াতাড়ি করে দুই দিনে চলে আসে তবে তার কোনো পাপ নেই। আর যদি কেউ বিলম্ব করে তবে তারও কোনো পাপ নেই, এটা তার জন্য যে তাকওয়া অবলম্বন করে।[2]
কোনো কোনো হজ্জ কাফেলার নেতাদেরকে দেখা যায় যে তারা ১১ তারিখ মধ্য রাতের পর হাজি সাহেবদেরকে নিয়ে মিনা ত্যাগ করে চলে যান। রাতের বাকি অংশ মক্কায় যাপন করে পরদিন যোহরের পর মক্কা থেকে এসে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন ও আবার মক্কায় চলে যান। এরূপ করাটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর আদর্শের বিপরীত। বিশেষ অসুবিধায় না পড়লে এরূপ করা উচিৎ নয়। আর মিনায় রাত ও দিন উভয়টাই যাপন করা উচিৎ। কেননা মিনায় রাত্রিযাপন যদি ওয়াজিবের পর্যায়ে পড়ে থাকে তাহলে দিন যাপন সুন্নত, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)দিন ও রাত উভয়টাই মিনায় যাপন করেছেন।
[2] - সূরা আল বাকারা : ২০৩