তাওয়াফ-সাঈ শেষ করে মিনায় ফিরে আসতে হবে। ১০ তারিখ দিবাগত রাত ও ১১ তারিখ দিবাগত রাত মিনায় যাপন করতে হবে। ১২ তারিখ যদি মিনায় থাকা অবস্থায় সূর্য ডুবে যায় তাহলে ১২ তারিখ দিবাগত রাতও মিনায় যাপন করতে হবে। ১৩ তারিখ কঙ্কর মেরে তারপর মিনা ত্যাগ করতে হবে।
মিনায় রাত্রিযাপন গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)যোহরের সালাত মসজিদুল হারামে আদায় ও তাওয়াফে যিয়ারত শেষ করে মিনায় ফিরে এসেছেন ও তাশরীকের রাতগুলো মিনায় কাটিয়েছেন।[1] ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘ওমর (রাঃ) আকাবার ওপারে (মিনার বাইরে) রাত্রিযাপন করা থেকে নিষেধ করতেন। এবং তিনি মানুষদেরকে মিনায় প্রবেশ করতে নির্দেশ দিতেন।[2] মিনায় কেউ রাত্রিযাপন না করলে ওমর শাস্তি দিতেন বলেও এক বর্ণনায় এসেছে।[3] ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যেন মিনার কোনো রাত, আইয়ামে তাশরীকে, আকাবার ওপারে যাপন না করে।[4] এলাউস্সুনান কিতাবে রয়েছে,
ودلالة الأثر على لزوم المبيت بمنى في لياليها ظاهرة ، وقد تقدم أن ظاهر لفظ الهداية يشعر بوجوبها عندنا.
-মিনায় রাত্রিযাপনের আবশ্যকতা বিষয়ে হাদিসের ভাষ্য স্পষ্ট। আর এটা পূর্বে উল্লেখ হয়েছে যে হেদায়ার শব্দমালা মিনায় রাত্রিযাপন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অনুভূতি দিচ্ছে।[5] সে হিসেবে হানাফি মাজহাবের নির্ভরযোগ্য মতামত হল, আইয়ামে তাশরীকে মিনার বাইরে অবস্থান করা মাকরুহে তাহরীমি (ترك المقام بها مكروه تحريما)[6] তাই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মিনায় অবস্থায় করুন। দিনের বেলায়েও মিনাতেই থাকুন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোও মিনায় কাটিয়েছেন।
[2] - عن ابن عمر : أن عمر رضي الله عنه كان ينهى أن يبيت أحد من وراء العقبة وكان يأمرهم أن يدخلوا منى (ইবনু আবি শায়বা: ১৪৩৬৮)
[3] - এলাউস্সুনান : খন্ড : ৭ , পৃ: ৩১৯৫
[4] - عن ابن عباس رضي الله عنه : أنه قال : لا يبيتن أحد من وراء العقبة ليلا بمنى أيام التشريق (ইবনু আবি শায়বা : ১৪৩৬৭)
[5] - এলাউস্সুনান : খন্ড : ৭, পৃ: ৩১৯৫
[6] - প্রাগুক্ত