কঙ্কর নিক্ষেপের ফজিলত ও দুর্বল ও নারীদের কঙ্কর নিক্ষেপ

কঙ্কর নিক্ষেপের ফজিলত

হাদিসে এসেছে, ‘আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপ, সে তো তোমার জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়।[1]

দুর্বল ও নারীদের কঙ্কর নিক্ষেপ

যারা দুর্বল অর্থাৎ হাঁটা-চলার ক্ষমতা রাখে না, তারা নিজের কঙ্কর অন্যকে দিয়ে মারাতে পারেন। এক্ষেত্রে যিনি প্রতিনিধি হবেন তাকে অবশ্য হজ্জ পালনকারী হতে হবে, এবং নিজের কঙ্কর প্রথমে মেরে, পরে অন্যেরটা মারতে হবে।

নারী মাত্রই দুর্বল এ কথা ঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)এর সাথে উম্মাহাতুল মুমিনিন সকলেই ছিলেন। তাঁদের সবাই নিজের কঙ্কর নিজেই মেরেছেন। কেবল সাওদা (রাঃ) মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ায় ভিড় হওয়ার পুবে,র্ ফজরের আগেই, কঙ্কর নিক্ষেপের অনুমতি নিয়ে কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ করেন। তবু তিনি নিজের কঙ্কর নিজেই মেরেছেন। তাই নারী হলেই প্রতিনিধি নিয়োগ করা যাবে, তেমন কোনো কথা নেই। যখন ভীড় কম থাকে নারীরা তখন গিয়ে কঙ্কর মারবে। এবং নিজের কঙ্কর নিজেই মারবে, এটাই উত্তম তরিকা। হাঁ যদি ভীড় লাঘব হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রতিনিধির মাধ্যমে কঙ্কর নিক্ষেপ করালে সমস্যা হবে না। তবে বর্তমানে জামারাতের স্তম্ভ যেভাবে লম্বা করে দেয়া হয়েছে তাতে, সময়-ক্ষণ বুঝে, যে কেউ অনায়াসে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে পারে।

[1] - وأما رميك للجمار فإنه مذخور لك (মুসলিম : হাদিস নং ১৩৪৮)