১. স্বাস্থ্য পরীক্ষা: প্রতি জেলায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ বোর্ডের মাধ্যমেই ব্যবস্থা করা হয় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেনিনজাইটিস প্রতিরোধক টিকা, যা বাধ্যতামূলক, এ বোর্ডের মাধ্যমেই প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিয়ে এ বোর্ড থেকে আপনাকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে এ কাজটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে ঢাকায় হজ্জ ক্যাম্পে এসে সম্পূর্ণ করবেন। এ সনদ ব্যতীত হজে যাওয়া সম্ভব হবে না।
২. পুলিশ ছাড়পত্র: সরকারী ব্যবস্থাপনার হাজিদের জন্য জেলা প্রশাসকগণ পুলিশ সুপারের নিকট ছাড়পত্রের জন্য হজ্জযাত্রীদের তালিকা প্রেরণ করেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সেরে হজ্জ অফিসে ছাড়পত্র সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
৩. হজ্জ প্রশিক্ষণ: সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জ পালনেচ্ছুদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহে সুবিধা মত সময়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে হজ্জ যাত্রার ৩ দিন পূর্বে হজ্জ ক্যাম্পে অবস্থানের সময় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বেসরকারি হজ্জ এজেন্সিগুলোর কোনো-কোনোটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সৌদি আরব গমনের পূর্বেই একদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এসব প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে মনোযোগের সাথে অংশগ্রহণ করা উচিৎ। এ ছাড়াও কোনো কোনো বিজ্ঞ আলেম অথবা মসজিদ কর্তৃপক্ষ হজ্জ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে সেখানেও অংশ গ্রহণ করা উচিৎ। হুজ্জাজ চেরিট্যাবল সোসাইটি বিভিন্ন জায়গায় এ ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।