চাশতের নামাযের কমপক্ষে ২ রাকআত এবং ঊর্ধ্বপক্ষের কোন নির্দিষ্ট রাকআত সংখ্যা নেই। অবশ্য মহানবী (ﷺ) নিজে এই নামায ৮ রাকআত পড়তেন বলে প্রমাণিত। পক্ষান্তরে তাঁর কথায় প্রমাণিত ১২ রাকআত।
উম্মেহানী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর ঘরে চাশতের সময় ৮ রাকআত নামায পড়েছেন। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৩০৯নং)
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, মহানবী (ﷺ) ৪ রাকআত চাশতের নামায পড়তেন এবং আল্লাহর তওফীক অনুসারে আরো বেশী পড়তেন। (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, ইমা, মিশকাত ১৩১০নং)
তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি চাশতের ৪ রাকআত এবং প্রথম নামায (যোহরের) পূর্বে ৪ রাকআত পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।” (ত্বাবরানী আওসাত্ব, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৩৪৯নং)
মা আয়েশা (রাঃ) ৮ রাকআত চাশত পড়তেন আর বলতেন, যদি আমার মা-বাপকেও জীবিত করে দেওয়া হয় তবুও আমি তা ছাড়ব না। (মালেক, মুঅত্তা, মিশকাত ১৩১৯নং)
হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি চাশতের দু রাকআত নামায পড়বে সে উদাসীনদের তালিকাভুক্ত হবে না। যে ব্যক্তি চার রাকআত পড়বে সে আবেদগণের তালিকাভুক্ত হবে। যে ব্যক্তি ছয় রাকআত পড়বে তার জন্য ঐ দিনে (আল্লাহ তার অমঙ্গলের বিরুদ্ধে) যথেষ্ট হবেন। যে ব্যক্তি আট রাকআত পড়বে আল্লাহ তাকে একান্ত অনুগতদের তালিকাভুক্ত করবেন। যে ব্যক্তি বারো রাকআত পড়বে তার জন্য আল্লাহ জান্নাতে একটি গৃহ্ নির্মাণ করবেন। এমন কোন দিন বা রাত্রি নেই যাতে আল্লাহর কোন অনুগ্রহ নেই; তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা দানস্বরুপ উক্ত অনুগ্রহ দান করে থাকেন। আর তাঁর যিক্রে প্রেরণা দান করা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে কোন বান্দার প্রতিই করেননি।” (ত্বাবারানীর কাবীর, সহিহ তারগিব ৬৭১ নং)
সলফ কর্তৃক ১২ রাকআতের বেশী পড়ার কথাও প্রমাণিত। অতএব কেউ পড়লে বেশী পড়তে পারে। (ফিকহুস সুন্নাহ্ আরবী ১/১৮৬)
উল্লেখ্য যে, ২ রাকআতের অধিক চাশত পড়লে প্রত্যেক ২ রাকআতে সালাম ফিরাই উত্তম।
প্রকাশ থাকে যে, এই নামাযে কোন নির্দিষ্ট ক্বিরাআত নেই। সূরা শামস ও যুহা পড়ার হাদীসটি জাল। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৩৭৭৪নং)