স্বালাতুয-যুহা বা চাশতের নামাযের সময় শুরু হয় সূর্য যখন দর্শকের চোখে এক বর্শা (এক মিটার) পরিমাণ উপরে ওঠে। অর্থাৎ সূর্য ওঠার মোটামুটি ১৫ মিনিট পরে এই নামায পড়া যায়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১২২) আর শেষ হয় সূর্য ঢলার আগে। তবে উত্তম হল, সূর্য পূর্বাকাশে উঁচু হওয়ার পর যখন মাটি গরম হতে শুরু করবে তখন এই নামায পড়া। মহানবী (ﷺ) বলেন, “সূর্য উঠে গেলে তারপর নামায পড়। কারণ, এই (সূর্য মাথার উপর আসার আগে পর্যন্ত) সময় নামায কবুল হয় এবং তাতে ফিরিশ্তা উপস্থিত থাকেন।” (আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে মাজাহ্, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬৬৩নং)
যায়দ বিন আরকাম বলেন, একদা মহানবী (ﷺ) কুবাবাসীর নিকটে এসে দেখলেন, তারা চাশতের নামায পড়ছে। তিনি বললেন, “আওয়াবীনের (আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের) নামায যখন উটের বাচ্চার পা বালিতে গরম অনুভব করে।” (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম, সহীহ তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ১৩১২নং)
উক্ত হাদীস থেকে স্পষ্ট যে, এই চাশতের নামাযকেই বলে আওয়াবীনের নামায। বলা বাহুল্য, মাগরেবের পর ৬ রাকআত নামাযের ঐ নাম দেওয়া ভিত্তিহীন।
প্রকাশ থাকে যে, এই নামাযকে তার প্রথম অক্তে (সূর্য এক বর্শা বরাবর উপরে উঠার পর) পড়লে ইশরাকের নামায বলা হয়।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিক্র করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।” বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন, “পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৬১নং)