কুনূতের দুআ (শেষ রাকআতের) রুকুর আগে বা পরে যে কোন স্থানে পড়া যায়। হুমাইদ বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কুনূত রুকূর আগে না পরে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘আমরা রুকূর আগে ও পরে কুনূত পড়তাম।’ (ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ১২৯৪নং)
অনুরুপ (দুআর মত)হাত তোলা ও না তোলা উভয় প্রকার আমলই সলফ কর্তৃক বর্ণিত আছে। (তুহ্ফাতুল আহওয়াযী ১/৪৬৪)
অবশ্য দুআর পরে মুখে হাত বুলানো সুন্নত নয়। কারণ, এ ব্যাপারে যত হাদীস এসেছে সবগুলোই দুর্বল। (ইর: ২/১৮১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫৫) বলা বাহুল্য, দুর্বল হাদীস দ্বারা কোন সুন্নত প্রমাণ করা সম্ভব নয়। তাই কিছু উলামা স্পষ্টভাবে তা (অনুরুপ বুকেহাত ফিরানোকে) বিদআত বলেছেন। (ইর: ২/১৮১, মু’জামুল বিদা’ ৩২২পৃ:)
ইযয বিন আব্দুস সালাম বলেন, ‘জাহেল ছাড়া এ কাজ অন্য কেউ করে না।’ পক্ষান্তরে দুআয় হাত তোলার ব্যাপারে অনেক সহীহ হাদীস এসেছে। তার মধ্যে কোন হাদীসেই মুখে হাত ফিরানোর কথা নেই। আর তা এ কথারই দলীল যে, উক্ত আমল আপত্তিকর ও অবিধেয়। (ইর: ২/১৮২, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৭৮পৃ:)
বিতরের নামাযের সালাম ফিরে দুআ
سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ، (সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস।)
অর্থ- আমি পবিত্রময় বাদশাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।
এই দুআটি তিনবার পড়তে হয়। তন্মধ্যে তৃতীয় বারে উচ্চস্বরে পড়া কর্তব্য। (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ১২৭৪-১২৭৫নং)