আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নামাযের অবস্থাতেই থাকে যতক্ষণ নামায তাকে (অন্যান্য কর্ম হতে) আটকে রাখে। তাকে নামায ব্যতীত অন্য কিছু তার পরিবারের নিকট ফিরে যেতে বাধা দেয় না।” (বুখারী ৬৫৯নং, মুসলিম ৬৪৯নং)
বুখারী শরীফের এক বর্ণনায় এরুপ এসেছে, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নামাযেই থাকে যতক্ষণ নামায তাকে আটকে রাখে। (আগামী নামায পড়ার জন্য অপেক্ষা করে মসজিদেই বসে থাকে।) আর সেই সময় ফিরিশ্তাবর্গ বলতে থাকেন, ‘হে আল্লাহ! ওকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! ওর প্রতি সদয় হও।’ (এই দুআ ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে) যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নামাযের স্থান ত্যাগ করেছে অথবা তার ওযু নষ্ট হয়েছে।” (বুখারী ৩২২৯নং)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “নামাযের পর আর এক নামাযের জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তি সেই অশ্বারোহীর সমতুল্য যে তার অশ্বসহ্ আল্লাহর পথে শত্রুর বিরুদ্ধে বিক্রমের সাথে সদা প্রস্তুত; যে থাকে বৃহ্ৎ প্রতিরক্ষার কাজে।” (আহ্মদ, ত্বাবারানীরানীর আওসাত্ব, সহীহ তারগীব ৪৪৭নং)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “নামাযের জন্য বসে প্রতীক্ষারত ব্যক্তি নামাযের দন্ডায়মান ব্যক্তির মত। তার নাম নামাযে মশগুল ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত থাকে -তার স্বগৃহ্ থেকে বের হওয়া হতে পুনরায় গৃহে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত।” (ইবনে হিব্বান, আহ্মদ, প্রমুখ, সহীহ তারগীব ৪৫১নং)