সমগ্র মুসলিম-জাতির জন্য রয়েছে একই ক্বিবলার বিধান। মহান আল্লাহ বলেন,
ومِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوْا وَجُوْهَكُمْ شَطْرَه।
অর্থাৎ, আর তুমি যেখান হতেই বের হও না কেন, মসজিদুল হারাম (কা’বা শরীফের) দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন, ঐ (কা’বার) দিকেই মুখ ফিরাবে। (কুরআন মাজীদ ২/১৫০)
আল্লাহর নবী (ﷺ) যখন নামাযে দাঁড়াতেন, তখন (ফরয-নফল সকল নামাযেই) কা’বা শরীফের দিকে মুখ ফিরাতেন। (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ২৮৯নং) তিনি এক নামায ভুলকারীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “যখন নামাযে দাঁড়াবার ইচ্ছা করবে তখন পরিপূর্ণরুপে ওযু কর। অতঃপর ক্বিবলার দিকে মুখ করে তকবীর বল---।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৭৯০নং)
নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য ক্বিবলাহ্-মুখ করা হল অন্যতম শর্ত। নামাযের সময় বান্দার থাকে দু’টি অভিমুখ; একটি হল হৃদয়ের এবং অপরটি হল দেহের। তার হৃদয়ের অভিমুখ থাকে আল্লাহর প্রতি। আর দেহ্ ও চেহারার অভিমুখ হয় আল্লাহরই এক বিশেষ নিদর্শন কা’বাগৃহের প্রতি। যে গৃহের তা’যীম করতে এবং যার প্রতি অভিমুখ করতে বান্দা আদিষ্ট হয়েছে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয় যেমন আল্লাহর অভিমুখী, তেমনিই নামাযে তাদের সকলের দেহ্-মুখও একই গৃহের প্রতি অভিমুখী হয়। এতে রয়েছে সারা মুসলিম জাতির ঐক্য ও সংহ্তির বহিঃপ্রকাশ এবং তাদের সকল বিষয়ে একাত্মতা অবলম্বন করার প্রতি ইঙ্গিত।