যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তখন আসরের সময় শুরু হয়। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৫৮৩নং) শেষ হয় ঠিক সূর্যাস্তের পূর্বমুহূর্তে।
মহানবী (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার পূর্বে আসরের এক রাকআত পেয়ে নেয়, সে আসর পেয়ে নেয়।” (বুখারী, মুসলিম, সহীহ)
আসরের আওয়াল অক্তেই নামায পড়া মহানবী (ﷺ) এর আমল ছিল। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘সূর্য যখন আকাশের উচ্চতায় প্রদীপ্ত থাকত, তখন আল্লাহর রসূল (ﷺ) আসরের নামায পড়তেন। তাঁর সাথে নামায পড়ে অনেকে মদ্বীনার পার্শ্ববর্তী বস্তীতে (কোন কাজে বা নিজের বাড়ি ফিরে) যেত, আর যখন সেখানে পৌঁছত তখনও সূর্য (অপেক্ষাকৃত) উচ্চতায় থাকত। পরন্তু কোন কোন ব স্তী মদ্বীনা থেকে প্রায় ৪ মীল (১৬ হাজার হাত, প্রায় ৭ কিমি) দূরে অবস্থিত ছিল।’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৫৯২নং)
রাফে’ বিন খাদীজ (রাঃ) বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর সাথে আসরের নামায পড়তাম। অতঃপর উট নহ্র (যবেহ্) করা হত, তারপর তার মাংস দশ ভাগ করা হত। সেই মাংস সূর্য ডোবার পূর্বেই রান্না করে খেতে পেতাম।’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬১৫নং)
বিনা ওজরে আসরের নামায শেষ সময়ে দেরী করে পড়া মাকরুহ। মহানবী (ﷺ) বলেন, “এটা তো মুনাফিকের নামায; যে সূর্যের অপেক্ষা করে যখন তা হলদে হয়ে শয়তানের দুই শিঙের মাঝে আসে, তখন সে উঠে (কাকের বা মুরগীর দানা খাওয়ার মত) চার রাকআত ঠকাঠক পড়ে নেয়। যাতে সে আল্লাহর যিক্র কমই করে থাকে।” (মুসলিম, আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ৫৯৩নং)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আরো বলেন, “যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করে সে ব্যক্তির আমল পন্ড হয়ে যায়।” (বুখারী ৫৫৩, নাসাঈ)
অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, “যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল, তার যেন পরিবার ও ধন-মাল লুণ্ঠন হয়ে গেল।” (মালেক, বুখারী ৫৫২, মুসলিম ৬২৬ নং প্রমুখ)