খোঁজার পর পানি না পাওয়া গেলে আওয়াল অক্তেই তায়াম্মুম করে নামায পড়া উচিৎ। শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত পানির অপেক্ষা করা বা পানি খোঁজা জরুরী নয়। আওয়াল অক্তে নামায পড়ে শেষ অক্তে পানি পাওয়া গেলেও নামায পুনরায় পড়তে হবে না। (সি: সহীহ ৬/২৬৫-২৬৮)
পানি খোঁজাখুঁজি না করেই তায়াম্মুম করে নামায পড়লে এবং পানি তার আশে-পাশে মজুদ থাকলে নামায বাতিল গণ্য হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২২০)
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, দুই ব্যক্তি সফরে বের হল। নামাযের সময় হলে তাদের নিকট পানি না থাকার কারণে তায়াম্মুম করে উভয়েই নামায পড়ে নিল। অতঃপর ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বেই তারা পানি পেয়ে গেল। ওদের মধ্যে একজন পানি দ্বারা ওযু করে পুনরায় ঐ নামায ফিরিয়ে পড়ল। কিন্তু অপর জন পড়ল না। তারপর তারা আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর নিকট এলে ঘটনা খুলে বলল। তিনি যে নামায ফিরিয়ে পড়েনি তার উদ্দেশ্যে বললেন, “তোমার আমল সুন্নাহর অনুসারী হয়েছে এবং তোমার নামাযও যথেষ্ট (শুদ্ধ) হয়ে গেছে।” আর যে ওযু করে নামায ফিরিয়ে পড়েছিল, তার উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, “তোমার জন্য ডবল সওয়াব।” (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, মিশকাত ৫৩৩নং)
প্রকাশ যে, সুন্নাহ্ জানার পর ডবল করে নামায বৈধ নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ১/৩৪৪)
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নামায পড়া অবস্থায় পানি পেয়ে যায়, তাকে নামায ছেড়ে দিয়ে ওযু করে পুনরায় নামায পড়তে হবে। (ফিকহুস সুন্নাহ্ উর্দু ১/৬৩, আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ১/৩৪৩)
ওযু ও গোসলের পর যে কাজ করা বৈধ, তায়াম্মুমের পরও সেই কাজ করা বৈধ হয়। যেহেতু তায়াম্মুম ওযু-গোসলের পরিবর্ত। (ঐ)
পানি বা মাটি কিছু না পাওয়া গেলে বিনা ওযু ও তায়াম্মুমেই নামায পড়তে হবে। (বুখারী ৩৩৬নং)
ঘরে থাকলেও খোঁজাখুঁজির পর পানি না পাওয়া গেলে এবং নামাযের সময় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা হলে তায়াম্মুম করে নামায পড়তে হবে। (বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ১/৫২৫-৫২৬)
পক্ষান্তরে পানি মজুদ থাকলে নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও ওযু-গোসল করে নামায পড়তে হবে। ঐ সময় তায়াম্মুম করে নামায হবে না। (ঐ ১/২১২)
একই তায়াম্মুমে কয়েক ওয়াক্তের নামায পড়া সিদ্ধ। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ১/৩৪০) সিদ্ধ না হওয়ার ব্যাপারে আসার গুলো শুদ্ধ নয়।