মুমিনের দু‌‘আ দু‘আসমূহ ডা. মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক (সংকলক) ১ টি

الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ

‘যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত (জাগ্রত) করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান’ (বুখারী, হা/৬৩১২)।

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ، وَلَا إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ «رَبِّ اغْفرْ لِيْ»

‘আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই। আল্লাহ সর্বমহান। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব, আমাকে ক্ষমা করুন’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৭৮)।


الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ فِي جَسَدِيْ، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوحِيْ، وَأَذِنَ لِيْ بِذِكْرِهِ

‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিকির করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন’ (তিরমিযী, হা/৩৪০১)।


إِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآيَاتٍ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ¤ الَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ¤ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ أَنْصَارٍ ¤ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْإِيْمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ ¤ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّيْ لَا أُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ فَالَّذِيْنَ هَاجَرُوا وَأُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأُوْذُوا فِيْ سَبِيْلِي وَقَاتَلُوا وَقُتِلُوا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَاللهُ عِنْدَهُ حُسْنُ الثَّوَابِ ¤ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوا فِي الْبِلَادِ ¤ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ثُمَّ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ¤ لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا نُزُلًا مِنْ عِنْدِ اللهِ وَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِّلْأَبْرَارِ ¤ وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ لَا يَشْتَرُوْنَ بِآيَاتِ اللهِ ثَمَنًا قَلِيْلًا أُولٰئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ¤ يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ

‘নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরর্বিতনে নিদর্শন রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদরে জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে আর বলে, “হে আমাদের রব, আপনি এগুলো অর্নথক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন। হে আমাদের রব, তুমি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে, তাকে অবশ্যই তুমি অপমান করবে আর যালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।
হে আমাদের রব, আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের ঘোষণা করতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো’। সে অনুযায়ী আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং হে আমাদের রব, আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের থেকে আমাদের মন্দ কাজগুলো বিদূরিত করে দাও আর নেককার বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে আমাদের মৃত্যু ঘটাও। হে আমাদের রব, তুমি স্বীয় রাসূলদের মাধ্যমে আমাদেরকে যেসব বস্তুর ওয়াদা শুনিয়েছো, তা আমাদের দান করো এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছিত কোরো না, নিশ্চয়ই তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না।”

তখন তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন, “তোমাদের মধ্যে পুরুষ হোক কিংবা নারীই হোক কারওই কর্মফল আমি নষ্ট করি না, তোমরা একে অপরের অংশ। সুতরাং যারা হিজরত করবে, স্বীয় গৃহ হতে বিতাড়িত হবে এবং আমার পথে নির্যাতিত হবে, যুদ্ধ করবে ও নিহত হবে, নিশ্চয়ই আমি তাদের গুনাহসমূহ দূর করে দেবো এবং নিশ্চয়ই তাদেরকে এমন জান্নাতে দাখিল করবো, যার নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদ-নদী, আল্লাহর নিকট হতে পুরস্কার হিসেবে, বস্তুতঃ আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম বিনিময়।” দেশে দেশে কাফিরদের সদম্ভ পদচারণা তোমাকে যেন বিভ্রান্ত না করে। সামান্য ভোগ, তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস, আর তা কতই না নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা তাতে চিরকাল থাকবে, এ হলো আল্লাহর নিকট হতে আতিথ্য আর আল্লাহর নিকট যা আছে, তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য অতি উত্তম।

আহলে কিতাবদের মধ্যকার কিছু লোক নিঃসন্দেহে এমনও আছে, যারা আল্লাহর উপর এবং তোমাদের উপর অবতীর্ণ কিতাব ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের উপর ঈমান রাখে, তারা আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত, তারা আল্লাহর আয়াতকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রয় করে না, এরাই তারা যাদের জন্য তাদের কর্মফল নির্ধারিত রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট, আল্লাহ হিসাব গ্রহণে ত্বড়িতগতি। হে মুমিনগণ, ধৈর্য অবলম্বন করো, দৃঢ়তা প্রদর্শন করো, নিজেদের প্রতিরক্ষাকল্পে পারস্পরিক বন্ধন মজবুত করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১৯০-২০০)।