ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সীরীন রহ. বলেন: যদি স্বপ্নে কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখে তাহলে তাকে যে অবস্থায় দেখবে সেটাই বাস্তব বলে ধরা হবে। তাকে যা বলতে শুনবে, সেটা সত্যি বলে ধরা হবে। কারণ, সে এমন জগতে অবস্থান করছে যেখানে সত্য ছাড়া আর কিছু নেই।
যদি কেউ মৃত ব্যক্তিকে ভালো পোশাক পরা অবস্থায় বা সুস্বাস্থের অধিকারী দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভালো অবস্থায় আছে। আর যদি জীর্ণ, শীর্ণ স্বাস্থ্য বা খারাপ পোশাকে দেখে তাহলে বুঝতে হবে, ভালো নেই। তার জন্য তখন বেশি করে মাগফিরাত কামনা ও দো‘আ-প্রার্থনা করতে হবে।
কয়েকটি উদাহরণ:
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, বিদ্রোহীরা যখন উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাসভবন ঘেরাও করল। তখন উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উসমান আমাদের সাথে তুমি ইফতার করবে। ঠিক ঐ দিনই উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু শহীদ হলেন।[1]
আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি একটি পাহাড়ের কাছে গেলাম। দেখি, পাহাড়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রয়েছেন আর পাশে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর হাত দিয়ে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর দিকে ইশারা করছেন।
আমি আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহুর এ স্বপ্নের কথা শুনে বললাম, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আল্লাহর শপথ! উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তো মারা যাবেন! আচ্ছা আপনি কি বিষয়টি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লিখে জানাবেন? আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর নিজের মৃত্যু সংবাদ জানাব, এটা কী করে হয়? এর কয়েকদিন পরই স্বপ্নটা সত্যে পরিণত হলো। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু শহীদ হয়ে গেলেন। কারণ, মৃত্যু পরবর্তী সত্য জগত থেকে যা আসে, তা মিথ্যা হতে পারে না। সেখানে অন্য কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ নেই।[2]
[2] আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়া: শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ আস সাদহান