এমন ব্যক্তিই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেওয়ার অধিকার রাখে, যিনি কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও স্বপ্ন ব্যাখ্যার মূলনীতি সম্পর্কে ওয়াকেফহাল। সাথে সাথে তাকে মানব-দরদী ও সকলের প্রতি কল্যাণকামী মনোভাবের অধিকারী হতে হবে। তাই তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا فَلَا يُحَدِّثْ بِهَا إِلَّا نَاصِحًا أَوْ عَالِمًا»
“তোমাদের কেউ স্বপ্ন দেখলে তা যেন আলেম কিংবা কল্যাণকামী ব্যতীত কারো কাছে তা বর্ণনা না করে”।[1]
শাইখ আব্দুর রহমান আস সাদী রহ. বলতেন, স্বপ্নের ব্যাখ্যা একটি শরঈ বিদ্যা। এটা শিক্ষা করা, শিক্ষা দেওয়া ও চর্চার করলে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়া যাবে। আর স্বপ্নের ব্যাখ্যা ফাতওয়ার মর্যাদা রাখে।
তাইতো দেখি ইউসুফ আলাইহিস সালাম স্বপ্নের ব্যাখ্যাকে ফাতওয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন তিনি তার জেল সঙ্গী দুজনকে তাদের জানতে চাওয়া স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে বলেছিলেন:
﴿قُضِيَ ٱلۡأَمۡرُ ٱلَّذِي فِيهِ تَسۡتَفۡتِيَانِ ٤١﴾ [يوسف: ٤١]
“তোমরা দু’জনে যে বিষয়ে ফাতওয়া চেয়েছিলে তার ফয়সালা হয়ে গেছে”। [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪১]