ঈমানের রোকন ছয়টি:
ইহা হাদীসে জিবরীলে উল্লেখ হয়েছে। যখন তিনি নবী (সা.) কে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তখন তিনি (সা.) তাঁর উত্তরে বলেন:
أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ، وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ متفق عليه.
‘‘ঈমান হলো: তুমি আল্লাহ, তাঁর ফেরেশ্তাকুল, আসমানি কিতাবসমূহ, রসূলগণ, শেষ দিবস ও ভাগ্যের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনবে।’’[1]
ঈমানী সম্পর্কের শক্তি:
ঈমানী সম্পর্ক সব চাইতে বড় বন্ধন। এর বিশাল শক্তির কারণে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির মাঝে এক গভীর সম্পর্ক তৈরী হয়। অনুরূপ আসমান-জমিনের মধ্যে, উম্মত ও মহান রসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাঝে, জমিনে বনি আদমের ভিতরে, বনি আদম ও ফেরেশতাদের মাঝে, জিন-ইনসানের মাঝে এবং দুনিয়া ও আখেরাতে মধ্যে ঈমানী শক্তি বন্ধন সৃষ্টি করেছে।
এই ঈমানী সম্পর্কের জন্যই আল্লাহ তা‘য়ালা সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল এবং ভূমন্ডল এবং জান্নাত ও জাহান্নাম। আর এ কারণেই আল্লাহ তা‘য়ালা মুমিনদের বন্ধু ও প্রেরণ করেছেন নবী-রসূলগণ। আর নাজিল করেছেন আসমানি কিতাবসমূহ ও আল্লাহর রাহে জিহাদকে বিধিবিধান কেরছেন।
১. আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:
وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ۘ یَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡهَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ یُطِیۡعُوۡنَ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ ؕ اُولٰٓئِکَ سَیَرۡحَمُهُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۷۱﴾
‘‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা সৎকর্মের আদেশ ও অসৎকর্মের নিষেধ করে। আর সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে। এদেরই উপর আল্লাহ দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্ররাক্রমশালী, সুকৌশলী।’’ [সূরা তাওবাহ:৭১]
২. আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:
اَللّٰهُ وَلِیُّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۙ یُخۡرِجُهُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ۬ؕ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَوۡلِیٰٓـُٔهُمُ الطَّاغُوۡتُ ۙ یُخۡرِجُوۡنَهُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَی الظُّلُمٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ هُمۡ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۵۷﴾
‘‘যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো জাহান্নামের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।’’ [সূরা বাকারা:২৫৭]
বিস্তারিতভাবে ঈমানের ছয়টি রোকনের বর্ণনা করার সময় হয়ে গেছে তাই আসুন তাহলে আর দেরি না করে আরম্ভ করা যাক।