উত্তর - এটা শরিয়তসম্মত নয় বরং বিদআত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, অমুক দু’কবরে আযাব হচ্ছে, তাই তিনি ঐ দু’কবরের উপর খেজুরের ডাল স্থাপন করেছেন, যাতে কবর আযাব বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য কোন কবরের উপর তিনি তা স্থাপন করেননি। এতে বুঝা গেল যে এ কাজটি ঐ দু’কবরের সাথে সীমাবদ্ধ ছিল, তাই অন্য কোথায় এ কাজ করা বৈধ হবে না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد» (رواه مسلم)
“যে এমন কোন কাজ করল যে বিষয়ে আমাদের আদর্শ নেই, তা পরিত্যক্ত”। (মুসলিম) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
« من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد» (متفق عليه)
“আমাদের এ দ্বীনে যে নতুন কিছুর উদ্ভাবন করল, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যক্ত”। (বুখারি ও মুসলিম)
বর্ণিত হাদিসদ্বয় এ কথার প্রমাণ যে, কবরের উপর লিখা, ফুল দেয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণ না-জায়েয। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে চুনা করতে, কবরের উপর ঘর বানাতে, বসতে ও লিখতে নিষেধ করেছেন।