পূর্বোলেস্নখিত কারণ সাপেক্ষ ইমামগণের অনুসারীবৃন্দ-
﴿ثُلَّةٌ مِنَ الْأَوَّلِينَ ۞ وَقَلِيلٌ مِنَ الْآخِرِينَ ﴾
পূর্ববর্তীদের অধিক সংখ্যক এবং পরবর্তীদের অল্প সংখ্যক লোক (সূরা ওয়াক্বিয়াহ-১৩,১৪)
স্বীয় ইমামদের সব কথা গ্রহণ করতেন না। বরং তাদের অনেক কথাই তারা বাদ দিয়েছেন যখন সুন্নাহ বিরোধী বলে স্পষ্ট হয়েছে।
এমনকি ইমামদ্বয় মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহিমাহুল্লাহ) ও আবূ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) তাদের শাইখ আবূ হানীফার (রাহিমাহুল্লাহ) প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাযহাব-এর বিরোধিতা করেছেন। ফিক্বহের কিতাবগুলোই একথা বর্ণনার জন্য যথেষ্ট।
এ ধরনের কথা ইমাম মাযিনী ও ইমাম শাফেঈর অন্যান্য অনুসারীদের বেলায়ও প্রযোজ্য। আমরা যদি এর উপর দৃষ্টান্ত পেশ করতে যাই তবে কথা দীর্ঘ হয়ে যাবে এবং এই বইয়ে আমি সংক্ষপায়নের যে উদ্দেশ্য পোষণ করেছি তা থেকেও বেরিয়ে পড়ব। তাই দু’টি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হবো:
ক। ইমাম মুহাম্মাদ তাঁর ‘‘মুওয়াত্ত্বা’’ গ্রন্থে বলেন (পৃ.১৫৮): আবূ হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ইসতিসকার কোন সালাত আছে বলে মনে করতেন না। তবে আমাদের কথা হচ্ছে যে, ইমাম লোকজনকে নিয়ে দু‘রাকা‘আত সালাত পড়বেন, অতঃপর দু’আ করবেন এবং স্বীয় চাদর পাল্টাবেন ...... (শেষ পর্যন্ত)।
খ। ইসাম বিন ইউসুফ আল বালখী যিনি ইমাম মুহাম্মাদ এর সাথী ছিলেন এবং ইমাম আবূ ইউসুফ এর সংশ্রবে থাকতেন তিনি ইমাম আবূ হানীফার কথার বিপরীত অনেক ফাৎওয়া প্রদান করতেন, কেননা (আবূ হানীফা) যেগুলোর দলীল জানতেন না অথচ তার কাছে অন্যদের দলীল প্রকাশ পেয়ে যেত, তাই সে মতেই ফাৎওয়া দিয়ে দিতেন। তাই তিনি রুকুতে গমনকালে ও রুকু থেকে উঠার সময় হসত্মযুগল উত্তোলন (রফউল ইয়াদাইন) করতেন। যেমনটি নাবী (ﷺ) থেকে মুতওয়াতির বর্ণনায় এসেছে।
তার তিন ইমাম কর্তৃক এর বিপরীত বক্তব্য তাকে এ সুন্নাত মানতে বাধা দেয় নি। এ নীতির উপরেই প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির অটল থাকা ওয়াজিব, চার ইমাম ও অন্যান্যদের সাক্ষ্য দ্বারা এটাই ইতিপূর্বে প্রতীয়মান হয়েছে।