হে মুসলিম নারী, সালাতের সকল শর্ত, রুকন ও ওয়াজিবসহ উত্তম সময়ে সালাত আদায় কর। আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন:
﴿وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُ﴾ [الاحزاب: ٣٣]
“আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
এ নির্দেশ সকল মুসলিম নারীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কারণ, সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, ইসলামের প্রধান স্তম্ব। সালাত ত্যাগ করা কুফরী, যা মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। যার সালাত নেই সে নারী হোক বা পুরুষ হোক দীন ও ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। শর‘ঈ কারণ ব্যতীত সালাত বিলম্ব করা সালাত বিনষ্ট করার শামিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿فَخَلَفَ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ خَلۡفٌ أَضَاعُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَٱتَّبَعُواْ ٱلشَّهَوَٰتِۖ فَسَوۡفَ يَلۡقَوۡنَ غَيًّا ٥٩ إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ وَلَا يُظۡلَمُونَ شَيۡٔٗا ٦٠﴾ [مريم: ٥٩، ٦٠]
“তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং শীঘ্রই তারা জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তবে তারা নয় যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে। তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না”। [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৫৯-৬০]
হাফিয ইবন কাসির রহ. মুফাসসিরদের এক জামা‘আত থেকে বর্ণনা করেন: সালাত বিনষ্ট করার অর্থ, সালাতের সময় নষ্ট করা, যেমন সময় শেষে সালাত পড়া। আর আয়াতের ‘গাঈ’ শব্দের অর্থ করেছেন লোকসান ও ক্ষতিগ্রস্ততা। কেউ তার ব্যাখ্যা করেছেন: জাহান্নামের একটি স্থান। (সালাত বিনষ্টকারীরা অতিসত্বর তাতে পৌছবে)।
নারীর সালাতের কতক বিধান পুরুষের সালাত থেকে ভিন্ন, যা নিম্নরূপ: