যীশু বলেন: ‘‘তোমরা দুষ্টের প্রতিরোধ করো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে, অন্য গাল তার দিকে ফিরিয়ে দাও।’’ (মথি ৫/৩৯, মো.-১৩)
এখানে ইংরেজি KJV: “ye resist not evil অর্থাৎ: ‘‘তোমরা দুষ্ট/পাপী/মন্দ/ বদমাইশ লোককে প্রতিরোধ করো না’’, RSV: Do not resist one who is evil অর্থাৎ: ‘‘যে ব্যক্তি দুষ্ট/ মন্দ/ পাপী/ বদমাইশ তাকে তোমরা প্রতিরোধ করো না।’’
শিক্ষাটা অবাস্তব ও মানব সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ব্যক্তি, সমাজ, দেশ বা রাষ্ট্র যদি এ নির্দেশনা অনুসারে দুষ্ট, পাপী বা অপরাধীদেরকে প্রতিরোধ করা বন্ধ করে দেয় তবে কি সে সমাজ বসবাস যোগ্য থাকবে? আমরা কি ঈমানদাদের বা সন্তানদেরকে বলব যে, তোমাদেরকে কেউ মারলে, অত্যাচার করলে, ধর্ষণ করলে, পকেট মারলে.... তোমরা তার বিরুদ্ধে কিছুই বলবে না? বরং আরেকবার অপরাধটা করার সুযোগ দেবে? যীশু কি তাঁর শিক্ষাটা আরো সুন্দর, বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্যভাবে দিতে পারলেন না?
অহিংসতার এ মূলনীতি যীশুর পূর্বেও গৌতম বুদ্ধ ও অন্যান্য প্রাচীন ধর্মগুরুরা থেকে বর্ণিত, তবে তা বাস্তবসম্মত নয়। কেউ যদি আপনাকে আক্রমণ করে বা চড় মারতে যায় তবে তার বিরুদ্ধে উগ্র প্রতিক্রিয়া সঠিক নয়। তবে অন্তত আপনি আপনার হাতটা বাড়িয়ে তার চড়টা প্রতিরোধ করুন। তা না করে আপনি যদি বিনা প্রতিরোধে তাকে এক গালে চড় মারতে দেয়ার পর দ্বিতীয় গালটা বাড়িয়ে দেন তবে সে ব্যক্তি আপনার চোয়ালটাই ভেঙ্গে দেবে।
গ্যারি ডাভিন্সি বলেন: “Would you trust a Christian babysitter with your child who would not resist evil? Did Jesus lie?” ‘‘কোনো খ্রিষ্টান শিশু- লালনকারী যদি আপনার শিশুর লালনের দায়িত্ব নেন, কিন্তু ‘দুষ্ট’ প্রতিরোধ না করেন তবে আপনি কি তার উপর নির্ভর করবেন? যীশু কি মিথ্যা বললেন?’’[1]