যীশু বলেছেন: ‘‘যে আপন প্রাণ ভালবাসে সে তা হারায়; আর যে এই দুনিয়াতে আপন প্রাণ অপ্রিয় জ্ঞান করে (ঘৃণা করে: hate), সে অনন্ত জীবনের জন্য তা রক্ষা করবে।’’ (যোহন/ ইউহোন্না ১২/২৫, মো.-১৩)

এভাবে তিনি শিক্ষা দিচ্ছেন যে, জীবনের মায়া বা ভালবাসা অনন্ত মৃত্যুর কারণ এবং দুনিয়াতে নিজের জীবনকে ঘৃণা করা পরকালের অনন্ত জীবন লাভের পথ। কিন্তু এর বিপরীতে আমরা দেখছি যে, ইহুদিরা যখন যীশুকে হত্যা করার পরিকল্পনা শুরু করল তখন তিনি প্রকাশ্যে তাদের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ করে দিলেন: ‘‘অতএব সেদিন থেকে তারা তাঁকে হত্যা করার পরামর্শ করত লাগল। তাতে ঈসা আর প্রকাশ্যরূপে ইহুদীদের মধ্যে যাতায়াত করলেন না...।’’ (যোহন ১১/৫৩-৫৪, মো.-১৩)

ইঞ্জিলের বর্ণনায় সুস্পষ্ট যে, তিনি ইহুদিদের হাতে ‘বধ’ হওয়ার ষড়যন্ত্র থেকে আত্মরক্ষার জন্য, অর্থাৎ ইহুদিদের ভয়ে এবং জীবনের মায়ায় প্রকাশ্যে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। বিষয়টা খুবই বিস্ময়কর! নিজের জীবনকে ভালবাসলে অনন্ত জীবন হারাতে হবে বলে জানালেন যীশু, অথচ তিনিই নিজের জীবনের ভালবাসায় প্রকাশ্যে যাতায়াত বন্ধ করে দিলেন! বিষয়টা কি বিশ্বাসযোগ্য?