حدوث الشرك في توحيد الألوهية - তাওহীদুল উলুহীয়াতের মধ্যে শিরক শুরু হলো কখন থেকে?

মুসলিমের উচিত, হক্ব জানার পর তার বিপরীতে যে বাতিল রয়েছে, তাও জানবে। যাতে করে সে বাতিল বর্জন করতে পারে এবং সেটা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারে। যেমন বলা হয়,

عرفت الشر لا للشر لكن لتوقيه ومن لا يعرف الشر من الخير يقع فيه

অকল্যাণ থেকে বাঁচার জন্যই আমি সেটা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছি। আর যে ব্যক্তি অকল্যাণ সম্পর্কে জানতে পারেনি, সে তাতে লিপ্ত হবেই।

হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,

كان الناس يسألون رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الخير، وكنت أسأله عن الشر؛ مخافة أن أقع فيه

‘‘লোকেরা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত। আর আমি তাকে অকল্যাণ ও অমঙ্গল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম। এ আশঙ্কায় যে, আমাকে তা পেয়ে বসে কি না’’।[1]

এ জন্যই আমীরুল মুমিনীন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,

يوشك أن تنقض عرى الإسلام عروة عروة إذا نشأ في الإسلام من لا يعرف الجاهلية

 অচিরেই ইসলামের বন্ধন (হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ ও বিধি-বিধান) একটি একটি করে খুলে ফেলা হবে। বিশেষ করে যখন ইসলামের মধ্যে এমন লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা কুফর ও শিরক সম্পর্কে অজ্ঞ হবে।

ইবরাহীম খলীল আলাইহিস সালামও তার সন্তানদের মধ্যে শিরক ও মূর্তিপূজা অনুপ্রবেশ করার আশঙ্কা করেছিলেন। তাই তিনি আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আ করলেন যে,

﴿رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ﴾

‘‘হে আমার রব! এ শহরকে তুমি নিরাপদ করো এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের মূর্তিপূজা থেকে রক্ষা করো। হে আমার প্রতিপালক, এরা অনেক মানুষকে বিপথগামী করেছে’’ (সূরা ইবরাহীম: ৩৫)।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, শিরক থেকে বিরত থাকা আবশ্যক এবং সেটা থেকে বাঁচার জন্য সেটার পরিচয় জানা থাকাও আবশ্যক।


[1]. সহীহ বুখারী হা/৩৬০৬, ৭০৮৪, সহীহ মুসলিম হা/১৮৪৭, আবূ দাউদ হা/৪২৪৪।