১. জানাযার সালাত ফরযে কেফায়া। ফরযে কেফায়া হলো এমন ফরয যা কিছু লোক আমল করলে বাকি লোকেরা দায় মুক্ত হয়ে যায়। আর যদি কেউই আমল না করে থাকে তাহলে সকলেই গুনাহগার হয়।
২. ওযূ করে সতর ঢেকে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে।
৩. তিনটি নিষিদ্ধ সময় ছাড়া দিবা-রজনীর যেকোন সময়ে জানাযা পড়া যায়, তবে বিশেষ প্রয়োজন হলে নিষিদ্ধ সময়ও পড়া যাবে। তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে সূর্য উদয় ও অস্ত যাওয়ার সময় এবং ঠিক দুপুর- এ তিন সময় জানাযা না পড়াই ভালো। ফজর ও আসরের ফরয সালাতের পর জানাযা পড়া জায়েয আছে। (মুয়াত্তা মালেক- ১/২৮৮)।
৪. চতুর্থ তাকবীরের পর রাসূলুল্লাহ (সা.) একটু থামতেন, অতঃপর সালাম ফিরাতেন।
৫. রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো ৪ তাকবীর, কখনো ৫ তাকবীর এবং ৯ তাকবীর দিয়ে জানাযা পড়েছেন। (তাবরানী কাবীর- ৩/১০৭-১০৮)
৬. দুদিকে সালাম ফেরানোর যেমন নিয়ম রয়েছে। (বায়হাকী- ৪/৪৩), তেমনি একদিকে শুধু ডান পাশে সালাম ফেরানোও জায়েয। (দারাকুতনী: ১৯১)
৭. প্রতি তাকবীরের পর দু’হাত কাঁধ বা কান বরাবর উঠানো জায়েয। তবে এটার সপক্ষের হাদীসকে কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন। আবার অনেকে বিশুদ্ধও বলেছেন।
৮. শিশুদের জানাযা হলে দু'আর শেষে এটুকু বাড়িয়ে পড়বে।
“হে আল্লাহ! তুমি এ শিশুকে আমাদের জন্য পূর্ববর্তী ও অগ্রগামী এবং পরকালের ধনভাণ্ডার ও পুরস্কার বানিয়ে দাও।”
৯. জানাযা মসজিদে হলে পর্দার সাথে মেয়েরাও পুরুষদের পেছনে জানাযার সালাত পড়তে পারে। মক্কা ও মদীনায় এখনো এ রীতি চালু আছে। তবে জানাযার জন্য মেয়েরা কোন মাঠে বা ঈদগাহে যাবে না।
১০. জানাযা পুরো না পেলে যতটুকু পায় ততটুকু পড়ে ইমামের সাথে সালাম ফিরাবে।
১১. জানাযায় ইমাম যা যা পড়বেন, পেছনে মুক্তাদিরাও তা-ই পড়বেন। অর্থাৎ মুক্তাদিরাও তাকবীর বলবেন, সূরা ফাতিহা পড়বেন এবং দুআগুলো পড়বেন।
১২. নিজের সন্তান বা আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকে কেউ জানাযার ইমামতি করা ফকীহগণ উত্তম বলে মনে করেন। তবে এর পক্ষে সরাসরি কোন হাদীস পাওয়া যায় না।
১৩. জানাযার পর মাইয়্যেতের মুখ দেখতে হাদীসে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি।
১৪. একই ব্যক্তির একাধিক জানাযা যেমন বৈধ, তেমনি একাধিক মাইয়্যেতের জানাযা একসঙ্গে দেওয়াও জায়েয।
১৫. গায়েবানা জানাযা জায়েয আছে।