মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ের সংখ্যাগত পার্থক্যের ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস পাওয়া যায় না। অতএব, মহিলাদের কাফনও পুরুষদের মতোই। তবে মহিলাদের পাঁচ কাপড়ের কাফনের ব্যাপারে যে হাদীসটি বর্ণনা করা হয়, সেটি যয়ীফ। তদনুরূপ সাত কাপড়ের হাদীসও যয়ীফ অর্থাৎ দুর্বল। তবে যারা এ হাদীসটিকে হাসান (?) মনে করেন তাঁরা পাঁচ কাপড় নিমরূপে দেন: কাফনদাতা দুটি লেফাফা সমান মাপে কাটবে। ১টি কামীস এমন মাপে কাটবে; যাতে লাশের কাঁধ থেকে পায়ের গাঁট পর্যন্ত ঢাকা হয়। ডাবল ভাঁজের কাপড় নিয়ে ভঁজের মাঝখানে গোল করে কেটে মাথা প্রবেশ করার মতো জায়গা করে নেবে। ইজার বা লুঙ্গী এমন মাপে কাটবে; যেন লাশের বগল থেকে নিয়ে পা পর্যন্ত আবৃত হয়। খিমার বা ওড়না ৯০ বর্গ সেঃ মিঃ হওয়া বাঞ্ছনীয়। লেফাফা দুটিকে উপরি বিছাবে। কামীসের পিঠের দিকটা বিছিয়ে বুকের দিকটা মাথার দিকে গুটিয়ে রাখবে। এরপর লুঙ্গির কাপড় বিছাবে। ওড়না রাখবে পাশে। লেঙ্গটের প্রয়োজন হলে লুঙ্গির উপর দেবে।
এরপর লাশকে পর্দার সাথে এনে কাফনের উপর রেখে তার হাত দুটিকে দুই পাঁজরের পাশে রাখবে। চুলের বেণীগুলো পিঠের নিচে ফেলে রাখবে। উল্লেখ্য যে, বুকের উপর চুল রাখা বিদআত। অতঃপর (প্রয়োজন হলে লেঙ্গট বাঁধবে, তা না হলে) লাশের ডান দিকের লুঙ্গির আঁচল নিয়ে তার ডান দিক এবং বাম দিকের আঁচল নিয়ে বাম দিক জড়িয়ে দেবে। এই সঙ্গে লাশের লজ্জাস্থানে রাখা কাপড়টি সরিয়ে নেবে। অতঃপর গুটিয়ে রাখা কামীসের উপরের অংশটি নিয়ে কাটা অংশের ফাকে মাথা প্রবেশ করিয়ে নিয়ে দেহের উপর বিছিয়ে দেবে এবং পাশের বাকি অঙ্গগুলি ডানে ও বামে পাঁজরের নিচে মুড়ে দেবে। তারপর ওড়না নিয়ে মাথা, চুল, মুখমণ্ডল ও বক্ষস্থল ঢেকে দেবে। এরপর লেফাফাদু’টিকে পরস্পর ডান দিক থেকে ও পরে বাম দিক থেকে দেহে জড়িয়ে দেবে। মাথা ও পায়ে বাঁধ দিয়ে মাঝ ১ থেকে ৫টি বাঁধ দেবে।