রাসূলুল্লাহ (স.) ও তার সাহাবায়ে কিরাম যখন কোন নিয়ামত লাভ করতেন বা কোন বিপদ দূর হয়ে যেতো বা কোন সুসংবাদ পেতেন তখনই আল্লাহর সমীপে সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন। আর এ সিজদাকে বলা হয় শোকরানা সিজদা। এরূপ সিজদাহ করা মুস্তাহাব। সাহাবী আবু বাক্ৰাহ (রা.) বলেন, নবী (স.)-এর কাছে কোন খুশির খবর এলে বা কোন সুসংবাদ পেলেই তিনি তখন সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন। (আবু দাউদ: ২৭৭৪)
রাসূল (স.)-এর শোকরানা সিজদার কয়েকটি ঘটনা:
(১) জিবরীল (আঃ) একবার জানালেন, যে ব্যক্তি রাসূল (স.)-এর উপর দুরূদ পড়বে আল্লাহও তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করবেন- এ সংবাদ শুনার সাথে সাথে নবীজী (স.) কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শোকরানা সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। (আহমাদ- ১/১৯১)
(২) ‘আলী (রা.)-কে একবার ইয়ামান পাঠানো হলে, সেখানে তিনি কিছু লোকের ইসলাম গ্রহণের সংবাদ জানালে রাসূলুল্লাহ (স.) খুশিতে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে সিজদা দেন। (বায়হাকী২/৩৬৯) (৩) সাহাবী কাব ইবনে মালেকের তাওবা আল্লাহ কবুল করেছেন- এ সংবাদ জানার পর খুশিতে তিনি সিজদা করেন। (বুখারী: ৪৪১৮) আর এ শোকরানা সিজদা তিলাওয়াতের সিজদার মতোই।