(১) রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ না ঘটলে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা ফরজ।
(২) দাঁড়াতে পরিপূর্ণ সক্ষম না হলে লাঠিতে ভর করে বা দেয়ালে হেলান দিয়ে পড়বে।
(৩) রুকু-সিজদার জন্য যদি পিঠ বাকা করতে না পারে তাহলে দাঁড়িয়েই রুকু সিজদা করবে, সিজদাতে রুকুর চেয়েও সামান্য একটু বেশি ঝুকবে।
(৪) দাড়ানো কষ্টকর বা রোগবৃদ্ধির কারণ হলে বসে বসেই সালাত আদায় করবে।
(৫) দাঁড়ানো কষ্টকর হলে বসে, তাও না পারলে শুয়ে সালাত আদায় করবে। সেক্ষেত্রে ডানকাতে শুয়ে কিবলামুখী হয়ে সালাত আদায় করবে।
(৬) শুয়েও না পারলে চোখের ইশারায় পড়বে। চোখটি রুকুর সময় অল্প এবং সিজদার সময় একটু বেশি ইশারা করবে।
(৭) কিবলামুখী করে দেওয়ার মতো কেউ যদি তখন কাছে না থেকে তাহলে যেভাবে আছে সে হালাতেই সালাত আদায় করবে।
(৮) যদি পূর্ববর্তী কোন অবস্থায়ই সালাত আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে অন্তর দ্বারা মনে মনে সালাত আদায় করবে, তাকবীর দিবে, তিলাওয়াত ও তাসবীহ পাঠ করবে এবং রুকু, সিজদা, দাঁড়ানো ও বসা- এগুলো করবে মনে মনে অন্তর দ্বারা। এরপরও সালাত আদায় রহিত নয়।
(৯) মাটিতে সিজদা করতে অক্ষম হলে শূন্যের উপরই সিজদা করবে। রুকুর তুলনায় সিজদাতে একটু বেশি ঝুকবে। তবু বালিশ, কাঠ বা অন্য কোন উঁচু জিনিসের উপর সিজদা করবে না। (১০) প্রত্যেক সালাত এর নির্দিষ্ট ওয়াক্তে আদায় করা ফরজ। রোগীর জন্য এটা কষ্টকর হলে যোহর-আসর এক সাথে এবং মাগরিব-ইশা একসাথে আদায় করতে পারবে। যোহর-আসর যোহরের বা আসরের যেকোন ওয়াক্তে পড়তে পারবে। অনুরূপভাবে মাগরিব-এশা হয়। মাগরিবের সময় নতুবা এশার সময় পড়তে পারবে। কিন্তু ফজরের সালাত যথা সময়েই পড়তে হবে।
(১১) যতক্ষণ রোগীর হুশ-জ্ঞান থাকবে ততক্ষণ তার উপর সালাত আদায় ফরজ। রোগীর অবস্থা যত শোচনীয়ই হোক না কেন। আর তা তরক করা হলো কুফুরী।
(১২) রোগী ঘুমিয়ে থাকলে বা ভুলে গেলে সজাগ হওয়া বা স্মরণ হওয়ামাত্র সে সময়েই সালাত আদায় করবে, আর কোন ওয়াক্ত ফউত হয়ে গেলে সাথে সাথে তা কাযা করে নেবে। কেননা, সালাতের কোন কাফফারা নেই।
(১৩) ইজতিহাদের ভিত্তিতে ফকীহদের মতে, জামাআতের সালাতে রোগীর চেয়ারের অগ্রভাগ থাকবে কাতারের সাথে, যাতে কাতার সোজা হয়।
(১৪) চেয়ারে বসে সালাত আদায় করলে এবং রুকু সিজদা করতে অপরাগ হলে রুকূর সময় সামান্য একটু সামনে ঝুকবে, আর সিজদার সময় আরেকটু বেশি ঝুকবে এবং তার হাত দুটো শূণ্যের মধ্যে বিছিয়ে দিবে।
(১৫) হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় বাদ পড়ে যাওয়া সালাত পরবর্তীতে কাজা করবে।
(সূত্র বুখারী: ১১১৭, ৬৮৯, ১৬৮, ৫৯৭, ৯৯৯, মুসলিম: ৪১১, ৭৬, ৬৮৪, নাসাঈ: ১৬৬২, আবু দাউদ: ৯৪৮, ২৮৭, বায়হাকী- ২/৩০৬, ইবনে খুযাইমা: ১২৩৮, মাজমু ফাতাউয়া- ১২/২৪২)