সফর থেকে ফিরে এসে নিজ ঘরে ঢুকার আগে বাড়ির নিকটস্থ মসজিদে দু'রাকআত সালাত আদায় করা মুস্তাহাব। (বুখারী ও মুসলিম, সলাতুল মুমিন পৃ/ ১/৩৮৪-৩৮৫)
২.১৬ (ড) ভয়ভীতিকালীন সালাত
যুদ্ধ-জিহাদকালীন সময়ে শত্রুর মোকাবেলার মুহূর্তের সালাত। শত্রুরা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত; জীবন মরণের ঝুকি। এমতাবস্থায়ও আল্লাহ ফরজ সালাত মউকুফ করেননি। তাও আবার জামাআতের সাথে পড়তে হবে। রাসূলুল্লাহ (স) এমন ভীতিকর অবস্থায় তার সাহাবাদের নিয়ে জামাআতের সাথে ফরজ সালাত আদায় করেছেন। এ সালাতকে বলা হয়, ‘সালাতুল খাউফ অর্থাৎ ভয়ভীতিকালীন সালাত। এমন এক পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (স.) একবার ‘উসফান’ উপত্যকায় অবস্থান করছিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করে বলেন,
“হে নবী! তুমি যখন মুসলিমদের মাঝে অবস্থান করবে এবং (যোদ্ধাবস্থায়) যখন তুমি তাদের (ইমামতির) জন্য (সালাতে) দাঁড়াবে, তখন যেন তাদের একদল লোক তোমার সাথে (সালাতে) দাঁড়ায় এবং তারা যেন তাদের অস্ত্র সাথে (নিয়ে সতর্ক) রাখে... (সূরা ৪; নিসা ১০২)।
লক্ষ্য করুন! এমন অবস্থায় যদি সালাত মাফ না হয়, তাহলে যারা অবহেলা বা অলসতা করে বিনা কারণে সালাত ত্যাগ করে চলছে তাদের অবস্থা কিরূপ হবে! ফিকাহবিদদের মতে ভয়ভীতিকালীন এ ‘সালাতুল খাউফ'-এর বিধান এখনো অব্যাহত রয়েছে, রহিত হয়নি। আজও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বা বাঘ-ভল্লুক, সাপ বা অন্য কোন হিংস্র প্রাণী বা শত্রুর আক্রমণের সম্মুখীন হলে রাসূলের তরীকায় এ সালাত আদায় করবে। এ সালাত আদায়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন। (বুখারী: ৯৪২, মুসলিম: ৩০৫, ৩০৬, তিরমিযী: ৩০৩৫, আবু দাউদ: ১২৪২ নং) হাদীসে ।