রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন,
(১) প্রত্যেক দিন সকালে তোমাদের (মানব দেহের) গ্রন্থিগুলোর জন্য সদাকাহ রয়েছে (এ সদাকাহ প্রদান তোমাদের উপর দায়িত্ব)। একবার ‘সুবহানাল্লাহ' বলা ১টি সদাকাহ, একবার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলা একটি সদাকাহ, একবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলা ১টি সদাকাহ, একবার আল্লাহু আকবার' বলা ১টি সদাকাহ, ভালো কাজে একবার আদেশ দেওয়া ১টি সদাকাহ, মন্দ কাজে নিষেধ করা ১টি সদাকাহ, আর এগুলোর মোকাবেলায় দু'রাকআত চাশতের সালাত আদায় করা আমাদের গ্রন্থিগুলোর সদাকাহ হিসেবে যথেষ্ট। (মুসলিম, সলাতুল মুমিন- ১/৩৪২)।
(২) মানুষের শরীরে ৩৬০টি গ্রন্থি (বা জোড়া) রয়েছে। আর এ প্রতিটি জোড়ার জন্য সদাকাহ করা আবশ্যক। লোকজন বলে উঠল, হে আল্লাহর নবী! এতগুলো সদাকাহ করার ক্ষমতা কি কেউ রাখে? উত্তরে তিনি বললেন, মসজিদ থেকে কফ-কাসি (নোংড়া জিনিস) দূর করে পূতে ফেলা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা (হলো সদাকাহ)। আর যদি তাও না পার তাহলে দু’রাকআত চাশতের সালাত আদায় কর। আর এটাই হবে এ গ্রন্থি (বা জোড়াগুলোর) সদাকাহ।(আবু দাউদ: ৫২৪২)।
(৩) রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, “হে বনী আদম! দিনের শুরুতে চার রাকআত চাশতের সালাত আদায় করার ইবাদতটি বাদ দিও না। (এটি আমল করলে) আখিরাতে আমি তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।(আবু দাউদ: ১২৮৯, তিরমিযী: ৪৭৫)।
(৪) “যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামাআতে আদায় করে, তারপর সূর্য উঠা পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর যিকির করে, (কুরআন তিলাওয়াত করে) এরপর দু'রাকআত (ইশরাকের) সালাত আদায় করে, তার জন্য একটি (পূর্ণ) হজ্জ ও একটি (পূর্ণ) উমরার সাওয়াব রয়েছে।(তিরমিযী: ৫৮৬)