শির্ক কী ও কেন? চতুর্থ পরিচ্ছেদ ড. মুহাম্মদ মুয্‌যাম্মিল আলী ১ টি
দ্বিতীয় অপকৌশল: বেলায়তের দাবীদারদের দ্বারা কিছু তেলেশমাতি প্রকাশ

 আমাদের এ বিষয়টি জানা আবশ্যক যে, যারা ঈমান ও সৎ কর্ম করে বা না করে ওলি হওয়ার দাবী করে এবং বাহ্যিকভাবে চমক সৃষ্টিকারী কিছু কাজ-কর্ম দ্বারা তারা জনগণকে নিজেদের ওলি হওয়ার কথা প্রচার করতে চায়, তারা কোনো দিনই আল্লাহর ওলি নয়। প্রকৃত পক্ষে তারা শয়তানেরই ওলি। এদের দ্বারা কিছু আশ্চর্যজনক কাজ-কর্ম সংঘটিত হয়ে থাকলেও তা মূলত শয়তানেরই তেলেশমাতি। শয়তান এদের কারো অবগতি এবং কারো অবগতির বাইরে তাদের রক্ত-মাংসের সাথে মিশে গিয়ে তাদের দ্বারা অনেক অদ্ভূত কর্ম সংঘটিত করায়। অনেক সময় তাদের কাছে কেউ আগমন করলে তারা আগমনকারীকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই তার নাম ও আগমনের উদ্দেশ্য বলে দিতে পারে।

অনেক সময় তাদের সামনে উপস্থিত লোকদেরকে তারা কারো আগমনের আগাম সংবাদ দেয়। বাস্তবের সাথে তাদের কথা মিলেও যায়। অনেকে যখন পাগলের বেশে গোরস্থান ও বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় তখন মস্তবড় একজন আল্লাহওয়ালা ও অচেনা মানুষের আকৃতিতে এসে শয়তান নিজেকে তাদের কাছে খিযির--এর পরিচয় দিয়ে কিছু উপদেশবাণী দিয়ে যায়। কখনও খিযির এর পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য কোনো গাছ বা কোনো বস্তু দিয়ে যায়। আবার কাউকে স্বপ্নের মাঝে কিছু দিয়ে জনগণকে তা তা‘বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়ার উপদেশ দিয়ে যায়। আবার যখন তারা কোনো ওলির কবরের পার্শ্বে বসে মুরাকাবা করে তখন অদৃশ্যে থেকে সে তাদের সাথে অনেক সময় কথাও বলে।

শয়তানের এ ধরনের তেলেশমাতি প্রকাশ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাঃ (রহ.) বলেন:

ّ‘‘যারা শয়তাদের পছন্দনীয় কর্ম যেমন: শির্ক, ফাসেকী ও অপরাধমূলক কাজ করে, শয়তান তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। ফলে তাদের বন্ধু যাতে তার কাশফ প্রকাশ করতে পারে সে-জন্যে কখনও তারা তাকে গায়েব সম্পর্কিত কোনো বিষয়ের তথ্য প্রদান করে। কখনও যাকে সে কষ্ট দিতে চায় তাকে তারা হত্যা, অসুস্থতা ইত্যাদি দ্বারা কষ্ট দেয়, কখনও কোনো মানুষকে সে ধরে আনতে চাইলে তারা তাকে ধরে নিয়ে আসে, কখনও তারা তার জন্য মানুষের কোনো অর্থ সম্পদ, খাদ্য দ্রব্য ও পোশাক ইত্যাদি চুরি করে এনে দেয় এবং সে এ-সবকে ওলিদের কারামত বলে মনে করে, কখনও তারা তাকে বাতাসে উড়িয়ে অনেক দূরবর্তী কোনো স্থানে নিয়ে যায়, কখনও ‘আরাফার দিন বিকেলে মক্কা শরীফে নিয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিকই আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং সে এটাকে (নিজের) কারামত বলে মনে করে, অথচ সে মুসলিমদের হজ্জ করেনি, হজ্জের জন্য কোনো এহরামও বাঁধেনি, তলবিয়াও পাঠ করেনি, কা‘বা শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়াতে সা‘য়ীও করেনি, অথচ সর্বজন বিদিত ব্যাপার যে, এ ধরনের কর্ম মারাত্মক ধরনের পথ ভ্রষ্টতা ’’।[1]

তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন:

‘‘মুশরিকদের পথভ্রষ্টতার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সেই সব বিষয়াদি যা তারা কবর নামের প্রতিমার কাছে দেখতে বা শুনতে পায়। উদাহরণস্বরূপ সে-সব বিষয়ের কথা বলা যায় যা তারা কোনো অনুপস্থিত ব্যক্তির আগমন সম্পর্কে আগাম সংবাদ অথবা এমন কোনো বিষয় যার দ্বারা কোনো প্রয়োজন পূর্ণ হয়েছে বা অনুরূপ কিছু শুনতে বা দেখতে পায়। সেই সব মুশরিকদের মধ্যকার কেউ যখন কোনো কবর ফেটে উজ্জ্বল কোনো শেখকে বেরিয়ে এসে তাকে আলিঙ্গন করতে অথবা তার সাথে কথা বলতে দেখে, তখন সে মনে করে এই শেখ হলেন কবরস্থ নবী। অথচ প্রকৃতপক্ষে নবীর কবর ফেটে যায় নি, শয়তানই তাকে তা নাটক করে দেখিয়েছে’’।[2]

তিনি আরো বলেন:

‘‘যারা মৃত কোনো নবী বা অপর কাউকে আহ্বান করতে বা তাদের নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন করতে অভ্যস্ত হয়েছে তারা দূর থেকে যখন তাঁদেরকে সাহায্যের জন্য আবেদন করে তখন তারা তাঁদের আকৃতিতে কাউকে দেখতে পায় অথবা যাকে তারা দেখতে পায় তাকে তারা তাঁদের আকৃতির মত বলে মনে করে এবং সে দৃশ্যমান লোক তাদেরকে বলে: আমি অমুক, এই বলে সে তাদের সাথে কথা বলে, তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়, তখন তারা মনে করে: যে মৃত ব্যক্তিকে তারা সাহায্যের জন্য আহ্বান করেছিল সেই ব্যক্তিই তাদের সাথে কথা বলেছে ও তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করে দিয়েছে, অথচ এ কথোপকথনকারী হচ্ছে জিন ও শয়তান’’।[3]

এভাবে বিভিন্ন উপায়ে শয়তান তার তেলেশমাতি প্রকাশ করে এদেরকে ও সাধারণ লোকদেরকে তাদের ওলি হওয়া এবং তাদের দ্বারা সংঘটিত বিষয়াদিকে তাদের ওলি হওয়ার নিদর্শন বা কারামত বলে বুঝাতে চেষ্টা করে। পক্ষান্তরে যারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর ওলি সাধারণত তাঁদের দ্বারা কোনো কারামত প্রকাশিত না হওয়ায় এবং তাঁদের দ্বারা শয়তানের কোনো তেলেশমাতিও প্রকাশিত না হওয়ায় অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্য করে।

অপরদিকে যে সকল সৎ ব্যক্তিদের দ্বারা তাঁদের জীবনকালে আল্লাহ কোনো কারামত প্রকাশ করেছিলেন, তাঁদের কবরগুলোকেও শয়তান তার তেলেশমাতি প্রকাশের আস্তানায় পরিণত করে। তাঁদের কবরের খাদিমদের রক্ত-মাংসে মিশে যেয়ে যেমন তাদের দ্বারা অনেক তেলেশমাতি প্রকাশ করে, তেমনি কবরে অবস্থান গ্রহণকারী বা যিয়ারতকারীদেরকেও নানাভাবে তেলেশমাতি দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে। সময়ের পরিবর্তনে ধর্মের ক্ষেত্রে মানুষের অজ্ঞতা যতই বাড়ছে শয়তানের তেলেশমাতী প্রকাশের ধরনও ততই বাড়ছে। যারা ফকিরী বেশে রাস্তায় উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়, শয়তান তাদের সাথেও মিশে তার তেলেশমাতি প্রকাশ করছে। এ অবস্থায় কবরে যারা ঘুরে বেড়ায়, অজ্ঞ লোকদের দৃষ্টিতে তাদেরকেও ওলি বানিয়ে ছাড়ে। এ-জাতীয় ওলিদের প্রসঙ্গে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.) বলেন:

‘‘কেউ যদি তার কাশফ দ্বারা অদৃশ্য কোনো বিষয় বা ভবিষ্যতের কোনো বিষয়ের সংবাদ দেয়, তা হলে এটি সে ব্যক্তির কামিল হওয়ার কোনো দলীল নয় এবং এটি তার আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ারও প্রমাণ বহন করেনা। কারণ, কারো কাশফ হওয়ার জন্য সে ব্যক্তির মুসলিম হওয়া শর্ত নয়। কেননা, কাশফ একজন পাগল ও কাফির ব্যক্তিরও হতে পারে। প্রকৃত কথা হলো: অদৃশ্য সম্পর্কে কাশফ হওয়ার বিষয়টি শরীরের একটি গোপন শক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত। এটি একজন কাফির, ফাসিক ও পাগলেরও হতে পারে এবং তাদের অধিকাংশ কাশফ বাস্তবের সাথে মিলেও যায়।

এ-জাতীয় কাশফ প্রকাশকারীদের আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার সাথে কোনই সম্পর্ক নেই। তবে সাধারণ লোকেরা বর্তমানে এ ধরনের কাশফের দ্বারাই আকৃষ্ট হয়। যখনই এমন কোনো ব্যক্তির দ্বারা কোনো কাশফ হতে দেখে, তখনই তারা সে ব্যক্তিকে কামিল মানুষ বলে মনে করে, ফলে নিজেরা এতে বিভ্রান্ত হয়, অপরকেও বিভ্রান্ত করে’’।[4] তাই কারো দ্বারা কোনো কাশফ হওয়া বা কোনো ধরনের তেলেসমাতি প্রকাশিত হওয়া দেখলেই আমাদের বিভ্রান্ত হওয়া চলবে না। এ-জাতীয় লোকদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য ইমাম শাফিঈ (রহ.) বলেন:

"إذا رأيتم الرجل يمشي على الماء ، و يطير في الهواء ، فلا تغتروا به حتى تعرضوا أمره على الكتاب و السنة."

‘‘যখন তোমরা কোনো ব্যক্তিকে পানির উপর চলতে এবং বাতাসে উড়ে বেড়াতে দেখ, তখন কুরআন ও সুন্নাতের সাথে সে ব্যক্তির কর্ম ও আচরণ মিলিয়ে না দেখে তার দ্বারা প্রতারিত হবে না।’’।[5]

মানুষের ঘাড়ে শয়তানের সওয়ার হওয়ার প্রমাণ:

যারা ওলি না হয়েও বেলায়তের মিথ্যা দাবী করে, শয়তান যে তাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে তেলেশমাতি দেখায় এর প্রমাণে মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ هَلۡ أُنَبِّئُكُمۡ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَٰطِينُ ٢٢١ تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٖ ٢٢٢ ﴾ [الشعراء: ٢٢١، ٢٢٢]

‘‘আপনি বলুন:আমি কি তোমাদেরকে তাদের সন্ধান দেব যাদের উপরে শয়তানরা অবতীর্ণ হয় ? শয়তানতো অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যুক ও পাপিষ্ঠের উপর’’।[6]

শয়তান মানুষদের পথভ্রষ্ট করার জন্য যেমন বেলায়তের মিথ্যা দাবীদার ও পাপিষ্ঠদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে, তেমনি সে অনেক ভাল মানুষদেরকেও বিভ্রান্ত করার জন্য তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। যারা শরী‘আতের জ্ঞানে পরিপক্ক থাকেন আল্লাহর রহমতে তারা তার বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা পান। কিন্তু যাদের জ্ঞানের পরিধি স্বল্প তারা অনেক সময় তার বিভ্রান্তির শিকার হন। একদা আব্দুল কাদির জীলানী (রহ.)-কেও শয়তান বিভ্রান্ত করতে এসেছিল। তিনি বলেন:

‘‘একদা আমি উপাসনায় লিপ্ত ছিলাম, হঠাৎ করে একটি বড় আরশ দেখতে পেলাম, যার উপরে রয়েছে একটি নূর, সে নূর থেকে আমাকে সম্বোধন করে বলা হলো: হে আব্দুল কাদির ! আমি তোমার রব, অন্যের উপর আমি যা হারাম করেছি, তোমার জন্য তা হালাল করে দিলাম। এ-কথা শুনার পর আব্দুল কাদির বললেন: (أنت الله الذي لا إله إلا هو) তুমি কি সেই আল্লাহ যিনি ব্যতীত অপর কোনো ইলাহ নেই? হে আল্লাহর শত্রু ! দূর হও এখান থেকে। তিনি বলেন: এ-কথার পর আরশের সেই আলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল এবং তা অন্ধকারে পরিণত হল। অবশেষে আমাকে লক্ষ্য করে শয়তান বললো : দ্বীনের ব্যাপারে তোমার অগাধ জ্ঞান ও তোমার নিজের অবস্থা সম্পর্কে তোমার সম্যক অবগতির দ্বারা আমার চক্রান্ত থেকে তুমি বেঁচে গেলে। আমি এই প্রক্রিয়ায় সত্তর ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করেছি’’।[7]

শয়তান যদি আব্দুল কাদির জীলানীর মত ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করতে পারে, তা হলে যারা জ্ঞান ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সমতুল্য নয়, তাদের কাছে যে সে কতভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বস্তুত যারা নিজেদেরকে আল্লাহর ওলি বলে প্রচার করে, যারা বেলায়ত লাভের ফিকির নিয়ে বিভিন্ন কবর ও জঙ্গলে পাগল বা মজ্যুব হয়ে ঘুরে বেড়ায়, শয়তান এদেরকে অধিক হারে তার তেলেশমাতী দেখিয়ে বিভ্রান্ত করে। সে জঙ্গলে ও কবরে তাদের নিকট খিযির এর পরিচয় দিয়ে আগমন করে। আবার কারো কাছে আব্দুল কাদির (রহ.)-এর নিকট আগমনের ন্যায় আল্লাহর পরিচয় দিয়ে আগমন করে। যেমন মাহবুবে খোদা দেওয়ানবাগী এমনটি দাবী করেছে। সে নাকি আল্লাহ তা‘আলাকে একটি যুবকের মত দেখেছে।[8]

মোটকথা যারাই আল্লাহর ওলি হওয়ার শরী‘আত নির্ধারিত ঈমান ও তাকওয়ার পথ বাদ দিয়ে বৈরাগ্য অবলম্বনের মাধ্যমে আল্লাহর ওলি হতে চায় এবং এ অবস্থায় আল্লাহ, রাসূল, খিযির ও কোনো ওলির সাথে সাক্ষাৎ পেতে চায়, শয়তান তাদের সাথে কোনো একটি আকর্ষণীয় আকৃতিতে এসে বলে- আমি আল্লাহ বা রাসূল বা খিযির অথবা সেই অলি, যার সাথে তুমি সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছো। কিন্তু তারা তাদের অজ্ঞতার কারণে এ কথা বুঝে উঠতে পারেনা যে, আসলে তাদের সাথে যে সাক্ষাত করেছে সে হলো শয়তান।

[1].তিনি বলেন:

و الشياطين يوالون من يفعل ما يحبونه من الشرك و الفسوق و العصيان ، فتارة يخبرونه ببعض الأمور الغائبة ليكاشف بها ، و تارة يؤذون من يريد إيذائه بقتل أو تمريض و نحو ذلك ، و تارة يجلبون له من يريد من الإنس ، و تارة يسرقون له ما يسرقون من أموال الناس من نقود وطعام و ثياب و غير ذلك ، فيعتقد أنه من كرامات الأولياء ، و تارة يحملونه في الهواء فيذهبون به إلى مكان بعيد فيذهبون به إلى مكة عشية عرفة و يعودون به فيعتقد هذا كرامة مع أنه لم يحج حج المسلمين : لا أحرم و لا لبى و لا طاف بالبيت وبين الصفا و المروة و معلوم أن هذا من أعظم الضلال ".

ইবনে তাইমিয়্যাঃ, আল-ক্বা’ইদাতুল জালীলাঃ ফিত তাওয়াসসুলি ওয়াল অছীলাঃ; সম্পাদনায় সৈয়দ রশীদ রেজা, (...: মাকতাবাতিছ ছেক্বাফাতিত দ্বীনিয়্যাঃ, স্ংস্করণ বিহীন, তারিখ বিহীণ), পৃ. ২৯।

[2]. তিনি বলেন,

إن من أعظم ضلال المشركين ما يرونه أو يسموعونه عند الأوثان كإخبار عن غائب أو أمر يتضمن قضاء حاجة و نحو ذلك ، فإذا شاهد أحدهم القبر انشق و خرج منه شيخ بهي عانقه أو كلمه ، ظن أن ذلك هو النبي المقبور ، و القبر لم ينشق و إنما الشيطان مثل له ذلك

ইবনে তাইমিয়্যাঃ, আত্তাওয়াস্সুল ওয়াল ওসীলাতু ; পৃ.৩১, ৩২।

[3]. তদেব; পৃ.৩০।

[4].মুহাম্মদ শফী’, মাজালিসু হাকীমিল উম্মাত; (দিল্লী: রববানী বুক ডিপো, সংস্করণ বিহীন, ১৩৯৬হি:), পৃ. ৪৯-৫০।

[5]. ইবনু আবিল ‌ইয্‌য আল-হানাফী, প্রাগুক্ত ; পৃ.৫৭৩।

[6]. আল-কুরঅন, সূরা শু’আরা: ২২১-২২২।

[7]. ইবনে তাইমিয়্যাহ, আত-তাওয়াসসুলু ওয়াল ওসীলাতু; পৃ. ৩১। আব্দুল কাদির জীলানী (রহ.)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল : এ আলো যে শয়তানের, তা আপনি কী করে বুঝলেন? জবাবে তিনি বলেন : আমি তার কথা (قد أحللت لك ما حرمت على غيرك) এর দ্বারা তাকে বুঝতে পেরেছি। কেননা, আমি জানি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরী’আত রহিত ও পরিবর্তন হবার নয়। তা ছাড়া সে বলেছিল: আমি তোমার রব। কিন্তু তার পক্ষে (أنا الله الذي لا إله إلا هو) এ কথা বলা সম্ভব হয়নি। এত্থেকেও তার শয়তান হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।’’

[8]. দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৪০ নং টীকা দ্রষ্টব্য।