(১) উম্মতের প্রতি তীব্র দায়িত্বানুভূতির কারণে মৃত্যুর প্রাক্কালে রাসূল (ছাঃ) গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমটি ছিল তাঁর পরবর্তী খলীফা নির্বাচন বিষয়ে ইঙ্গিত প্রদান। কারণ নেতৃত্বের ঐক্য ব্যতীত জাতির ঐক্য সম্ভব নয়। এজন্য আবুবকর (রাঃ)-এর ব্যাপারে তাঁর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ও আচরণসমূহ থাকা সত্ত্বেও তিনি সেটি লিখে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ছিল অন্যরূপ। তাই লেখা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তাঁর আগ্রহই কার্যকর হয় এবং আবুবকর (রাঃ) সর্বসম্মতভাবে উম্মতের ‘খলীফা’ নির্বাচিত হন। এতে নির্দেশনা রয়েছে যে, ইসলামে আমীর নির্বাচনের সর্বোত্তম পদ্ধতি হ’ল পূর্বতন আমীরের অছিয়ত। যা পরে আবুবকর (রাঃ) ওমর (রাঃ)-এর ব্যাপারে করেছিলেন। অথবা উম্মতের সেরা ব্যক্তিদের মধ্য হ’তে পূর্বতন আমীরের বাছাইকৃত ব্যক্তিগণের একজন। যা সেরা ব্যক্তিগণের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। যেমন ওমর ফারূক (রাঃ) করে গিয়েছিলেন। (দ্রঃ লেখক প্রণীত ‘ইসলামী খিলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’ বই)।
(২) দ্বিতীয়টি ছিল বহিঃশত্রুর হাত থেকে ইসলামী খিলাফতকে রক্ষার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে সৈন্য পরিচালনার নির্দেশ দান। এর মাধ্যমে তিনি নিজের মৃত্যুর চাইতে উম্মতের নিরাপত্তাকেই অধিক গুরুত্ব দেন। যা পরবর্তী খলীফাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবে রয়ে যায়।
(৩) রাসূল (ছাঃ)-এর এই দায়িত্ব সচেতন কর্মকান্ডের মধ্যে যেকোন দায়িত্বশীল মুমিন ব্যক্তির জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। কারণ প্রত্যেকেই ক্বিয়ামতের দিন স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে (মুসলিম হা/১৮২৯ (২০)।