হামদান ইয়ামনের একটি গোত্রের নাম। যাদের প্রতিনিধি দল তাবূক অভিযানের পর অর্থাৎ ৯ম হিজরীর শেষ দিকে মদীনায় আসে। ইতিপূর্বে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেবার জন্য খালেদ বিন অলীদকে পাঠানো হয়। তিনি দীর্ঘ ছয় মাস সেখানে অবস্থান করা সত্ত্বেও কেউ ইসলাম গ্রহণ করেনি। তখন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) একটি পত্রসহ আলী (রাঃ)-কে প্রেরণ করেন এবং খালেদকে প্রত্যাহার করে নেন। হযরত আলী (রাঃ) তাদের নিকটে রাসূল (ছাঃ)-এর পত্রটি পড়ে শুনান এবং তাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেন। ফলে তাঁর দাওয়াতে এক দিনেই গোত্রের সমস্ত লোক ইসলাম কবুল করে। এই সুসংবাদ জানিয়ে আলী (রাঃ)-এর প্রেরিত পত্র পাঠ করে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) খুশীতে ‘সিজদায়ে শুক্র’ আদায় করেন এবং সিজদা থেকে উঠে তাঁর যবান মুবারক থেকে বেরিয়ে যায়,السَّلاَمُ عَلَى هَمْدَانَ السَّلاَمُ عَلَى هَمْدَانَ ‘হামদানবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক, হামদানবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক’![1]
হযরত আলীর নিকটে ইসলাম কবুলের পর হামদান গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল রাসূল (ছাঃ)-এর দর্শন লাভের জন্য মালেক বিন নামাত্বের(مَالكُ بْنُ النَّمَطِ) নেতৃত্বে মদীনায় আসে। তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর সম্মুখে কবিতা পাঠ করেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মালেক বিন নামাত্বকে উক্ত কওমের নেতা নিযুক্ত করেন ও তাদের নিকটে পত্র প্রেরণ করেন।[2]
[শিক্ষণীয় : যারা বলেন, ইসলাম তরবারির জোরে প্রসার লাভ করেছে, তারা বিষয়টি লক্ষ্য করুন। হামদানের লোকদের ইসলামের পথে আনার জন্য খালেদের তরবারিই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু ছয় মাসেও তিনি তা ব্যবহার করেননি। অবশেষে হযরত আলীর উপদেশ তাদের মনের মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়। প্রকৃত অর্থে দাওয়াতের মাধ্যমেই ইসলাম প্রসার লাভ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে ইনশাআল্লাহ।]
[2]. যাদুল মা‘আদ ৩/৫৪৪; ইবনু হিশাম ২/৫৯৭। বর্ণনাটির সনদ ‘যঈফ’ (ঐ, তাহকীক ক্রমিক ১৯৮৪)।