নবীদের কাহিনী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাদানী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ১ টি
১. বনু হাওয়াযেন প্রতিনিধি দল (وفد بنى هوازن)

৮ম হিজরীর শাওয়াল মাসে হোনায়েন যুদ্ধের পর জি‘ইর্রানাহ্তে গণীমত বণ্টন সম্পন্ন হবার পর যোহায়ের বিন ছুরাদ(زُهَيْرُ بْنُ صُرَدٍ) এর নেতৃত্বে হাওয়াযেন গোত্রের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মুসলমান অবস্থায় সেখানে আগমন করে। এই দলে রাসূল (ছাঃ)-এর দুধ চাচা আবু বুরক্বান(أبو بُرْقَان) ছিলেন। তাঁরা অনুরোধ করলেন যে, অনুগ্রহ পূর্বক তাদের বন্দীদের ও মাল-সম্পদাদি ফেরৎ দেওয়া হৌক’। তাদের বন্দীনীদের মধ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর দুগ্ধ সম্পর্কিত খালা-ফুফুরাও ছিলেন। যাদের বন্দী রাখা ছিল নিতান্ত অবমাননাকর বিষয়।

অতঃপর তাদের ৬,০০০ যুদ্ধবন্দীর সবাই মুক্তি পেয়ে যায়। মুক্তি দানের সময় প্রত্যেক বন্দীকে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) একটি করে মূল্যবান ক্বিবতী চাদর উপহার দেন।

(বিস্তারিত দ্রঃ ‘হোনায়েন যুদ্ধ’ অধ্যায়, ‘হাওয়াযেন প্রতিনিধি দলের আগমন ও বন্দীদের ফেরৎ দান’ অনুচ্ছেদ)

[শিক্ষণীয় : (১) ধন-সম্পদের চাইতে মানুষের নিকট তাদের বংশ মর্যাদার মূল্য অনেক বেশী। কেননা হাওয়াযেন গোত্রের নেতাদেরকে রাসূল (ছাঃ) জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমাদের সন্তানাদি ও নারীগণ তোমাদের নিকটে অধিক প্রিয়, না তোমাদের ধন-সম্পদ’? জবাবে তারা বলেছিলেন,مَا كُنّا نَعْدِلُ بِالأَحْسَابِ شَيْئًا ‘আমরা কোন কিছুকেই বংশ মর্যাদার তুলনীয় মনে করি না’। () রাসূল (ছাঃ)-এর এই উদারনীতি ছিল তৎকালীন সময়ের যুদ্ধনীতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা।]