বিপুল গণীমত লাভ (حصول على الغنائم الوافرة)
বন্দী : ৬০০০ (নারী-শিশুসহ)। উট : ২৪,০০০। দুম্বা-বকরী : ৪০,০০০-এর অধিক। রৌপ্য : ৪০০০ উক্বিয়া। এতদ্ব্যতীত ঘোড়া, গরু, গাধা ইত্যাদির কোন হিসাব পাওয়া যায়নি। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) সব সম্পদ একত্রিত করে ‘জি‘ইর্রানাহ’ (الْجِعِرَّانَة) নামক স্থানে জমা রাখেন এবং মাসঊদ বিন ‘আমর আল-গেফারীকে তার তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেন। ত্বায়েফ থেকে ফিরে অবসর না হওয়া পর্যন্ত তিনি গণীমত বণ্টন করেননি। বন্দীদের মধ্যে হালীমার কন্যা রাসূল (ছাঃ)-এর দুধ বোন নবতিপর বৃদ্ধা শায়মা বিনতুল হারেছ আস-সা‘দিয়াহ(شَيْمَاءُ بِنْتُ الْحَارِثِ السَّعْدِيَة) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে চিনতে পেরে নিজের চাদর বিছিয়ে বসতে দিয়ে তাকে সম্মানিত করেন। অতঃপর তাকে তার ইচ্ছানুযায়ী তার কওমের নিকট ফেরৎ পাঠান’।[1]
[1]. ইবনু সা‘দ ২/১১৬; যাদুল মা‘আদ ৩/৪১৫; সীরাহ ছহীহাহ ২/৫০৪, ৫০৬। ইবনু ইসহাক বর্ণনা করেছেন যে, বন্দীনী শায়মার পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য মনে না হ’লে তাকে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আনা হয়। তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে বলেন, তুমি যে আমার দুধ বোন তার নিদর্শন কি? জবাবে তিনি বলেন, আমার পিঠে তোমার দাঁতের কামড়। তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে সেই নিদর্শন দেখে চিনতে পারেন এবং তাকে নিজের চাদর বিছিয়ে বসতে দেন... (ইবনু হিশাম ২/৪৫৮)। বর্ণনাটি ‘মুরসাল’ বা যঈফ (মা শা-‘আ ২০৭-০৮ পৃঃ)। একইভাবে সে সময় তার মা হালীমা সা‘দিয়াহ এসেছিলেন মর্মে বর্ণনাটিও বিশুদ্ধ নয় (হাকেম হা/৭২৯৪; মা শা-‘আ ২০৫ পৃঃ)।