মুতার যুদ্ধের গুরুত্ব (أهمية عزوة مؤةة)
(১) তৎকালীন বিশ্বের সেরা পরাশক্তির বিরুদ্ধে স্বল্পসংখ্যক মুসলিম বাহিনীর এই বীরত্বপূর্ণ মুকাবিলায় খ্রিষ্টান বিশ্ব যেমন ভয়ে চুপসে যায়, আরব বিশ্ব তেমনি হতচকিত হয়ে পড়ে। মাথা উঁচু করার স্বপ্ন ভুলে গিয়ে চির বৈরী বনু গাত্বফান, বনু সুলায়েম, বনু আশজা‘, বনু যুবিয়ান, বনু ফাযারাহ প্রভৃতি গোত্রগুলি ইসলাম কবুল করে। অন্যদিকে রোম সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন আরব অঞ্চলে ও দূরবর্তী অঞ্চল সমূহে মুসলিম বিজয়ের সূচনা হয়।
(২) এই যুদ্ধের ফলে অমুসলিম শক্তি নিশ্চিত হয় যে, ঈমানী বলে বলিয়ান মুসলিম বাহিনী আল্লাহর গায়েবী মদদে পুষ্ট এবং এদের মহান নেতা মুহাম্মাদ নিঃসন্দেহে সত্য নবী।
(৩) এই যুদ্ধে বিজয় মুসলমানদের জন্য ভবিষ্যৎ বিশ্ব জয়ের সিংহ দুয়ার উন্মুক্ত করে দেয়।