৭ম হিজরীর রামাযান মাস। বনু ‘আওয়াল(بَنُو عَوَال) অথবা জুহায়না (جُهَينة) গোত্রের বিরুদ্ধে মাইফা‘আহ (مَيْفَعَةُ) অথবা হারাক্বাত (حَرَقات) নামক স্থানে ১৩০ জনের এই সেনাদলটি প্রেরিত হয়। যুদ্ধে তারা জয়ী হন এবং উট ও গবাদিপশু নিয়ে ফিরে আসেন।
এই যুদ্ধে তরুণ যোদ্ধা উসামা বিন যায়েদ (ঐ সময় তাঁর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে) শত্রুপক্ষের জনৈক ব্যক্তিকে হত্যা করেন কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করার পরেও (তিনি ভেবেছিলেন যে, লোকটি ভয়ে কালেমা পাঠ করেছে)। একথা জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খুবই মর্মাহত হন এবং তাকে বলেন,أَفَلاَ شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ أَقَالَهَا أَمْ لاَ؟ وَكَيْفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ ‘সে সত্যভাবে বলেছে কি-না তা জানার জন্য তুমি কেন তার হৃদয় ফেঁড়ে দেখলে না? ক্বিয়ামতের দিন যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এসে তোমার সামনে দাঁড়াবে, তখন তুমি কি করবে? একথা তিনি বারবার বলতে থাকেন (কঠিন পরিণতি বুঝানোর জন্য)’।[1]