১ম হিজরত (الهجرة الأولى إلى الحبشة রজব ৫ম নববী বর্ষ) :
চতুর্থ নববী বর্ষের মাঝামাঝি থেকে মুসলমানদের উপরে যে নির্যাতন শুরু হয় ৫ম নববী বর্ষের মাঝামাঝি নাগাদ তা চরম আকার ধারণ করে। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এই মযলূম মুসলমানদের রক্ষার জন্য উপায় খুঁজতে থাকেন। তিনি আগে থেকেই পার্শ্ববর্তী হাবশার ন্যায়নিষ্ঠ খ্রিষ্টান রাজা আছহামা নাজাশী(أَصْحَمَةُ النَّجَاشِىُّ)-র সুনাম শুনে আসছিলেন যে, তার রাজ্যে মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে দেওয়া হয়। অতএব তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ শেষে হাবশায় হিজরতের নির্দেশ দানের সিদ্ধান্ত নেন। সেমতে নবুঅতের পঞ্চম বর্ষের রজব মাসে হযরত ওছমান (রাঃ)-এর নেতৃত্বে ১২ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলার প্রথম দলটি রাতের অন্ধকারে অতি সঙ্গোপনে হাবশার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়। এই দলে রাসূল (ছাঃ)-এর কন্যা ‘রুক্বাইয়া’ ছিলেন।[1] ভাগ্যক্রমে ঐ সময় লোহিত সাগরের বন্দর শো‘আইবাহ(ميناء شعيبة) তে দু’টো ব্যবসায়ী জাহায নোঙর করা ছিল। ফলে তারা খুব সহজে তাতে সওয়ার হয়ে হাবশায় পৌঁছে যান। কুরায়েশ নেতারা পরে জানতে পেরে দ্রুত পিছু নিয়ে বন্দর পর্যন্ত গমন করে। কিন্তু তারা নাগাল পায়নি।[2]
[2]. আর-রাহীক্ব ৯৩ পৃঃ; যাদুল মা‘আদ ১/৯৫।